করোনা টেস্ট না করে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে সাতজনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। অপরজনের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তাকে সংশোধনাগার কেন্দ্রে পাঠিয়েছে আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত এ আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- আহসান হাবীব, আহসান হাবীব হাসান, হাতিম আলী, রাকিবুল হাসান ওরফে সুমন, অমিত বনিক, আব্দুস সালাম, আব্দুর রশীদ খান ওরফে জুয়েল।
আর কিশোর কামরুল ইসলাম গেছেন গাজীপুর কিশোর সংশোধনাগারে। এদিন উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. আলমগীর গাজী আট আসামিকে আদালতে হাজির করেন এবং রিমান্ডকৃতদের সাত দিন করে রিমান্ড এবং কামরুল ইসলামকে কিশোর সংশোধনাগার কেন্দ্রে পাঠানোর আবেদন করেন।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে উত্তরাপশ্চিম থানায় মামলাটি দায়ের করে র্যাব। মামলায় ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। দণ্ডবিধি ৪০৬/৪১৭/৪৬৫/৪৬৮/৪৭১/২৬৯ ধারায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এর আগে সোমবার রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
অভিযানে ভুয়া করোনা টেস্টের রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। পরে সেখান থেকে আটজনকে আটক করে র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়। এর আগে মঙ্গলবার রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখাকেই সিলগালা করেন সারওয়ার আলম। সন্ধ্যায় ওই হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।