শুক্রবার , ২৯ মার্চ ২০২৪

নতুন পুরাতন সব মিলিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গার সংখ্যা বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশি। এরই মধ্যে তারা নানাভাবে মিশে গেছে স্থানীয়দের সাথে। আবার অনেকেই হয়েছেন জনপ্রতিনিধিও। তাই আশংঙ্কা বাড়ছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার নিয়ে।রোহিঙ্গা সংকটে স্থানীয়দের রাজনীতিতে নানা হিসাব নিকাশ বদলে দিতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। সূত্র: চ্যানেল টুয়েন্টিফোর

১৯৭৮ সাল থেকে নানা নিপীড়নের মুখে বড় আকারে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসতে শুরু করে । এর পরে গত কয়েক দশকে যে  পরিমাণ রোহিঙ্গারা এসেছে তাদের বড় একটি অংশ বাংলাদেশের মূলস্রোতের সাথে মিশে গেছে ।

মিয়ানমার বংশোদ্ভূত অনেক রোহিঙ্গা যেমন বাংলাদেশের ভোটার হয়েছেন, তেমনি হয়েছেন জন্ম সূত্রেও। যাদের কেউ কেউ হয়েছেন জনপ্রতিনিধি, যার সংখ্যা শতাধিকের মতো। তবে বর্তমান সময়ে রোহিঙ্গাদের থেকে জনপ্রতিনিধি আছে ২০ থেকে ৩০ জনের মতো।

কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের বলেন, কক্সবাজার জেলা ও বান্দরবানের কয়েকটি উপজেলায় রোহিঙ্গা বড় একটি অংশ রয়েছে। উপজেলার চেয়াম্যান রোহিঙ্গাদের পরিবারের লোকজন হয়েছে তার সাথে ইউনিয়ন পরিষদের অনেক চেয়ারম্যানও রোহিঙ্গাদের পক্ষপাতিত্বে রয়েছে বলে তিনি জানান।

গবেষকরা বলছেন, রোহিঙ্গা জনপ্রতিনিধিরা নিজ সম্প্রদায়ের মানুষকে বাংলাদেশের নির্বাচনে নানাভাবে সম্পৃক্ত করে। সেই সাথে অপতৎপরতা চালায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আর স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রহমান নাসির উদ্দিন বলেন, ২০০৬ সালে একটি ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছিল সেখান থেকে প্রায় ১ কোটি ভোটারদের বাদ দেয়া হয়েছিল তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। সেই সময়ে ভোটার তালিকার বড় একটা অংশ রোহিঙ্গা ছিল বলে জনান তিনি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের মুসলিম বানানো হচ্ছে। তাদের নামের সাথে মুসলিম পরিচয় যোগ করা হচ্ছে। যার কারণে ইসলামিক যে সংগঠনগুলো আছে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করতে পারে বলে তিনি শংঙ্কা প্রকাশ করেন।

ইতোমধ্যে বইতে শুরু করেছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া। অনেকের মতো বিশ্লেষকের আশংঙ্কা এবার সবচেয়ে বেশি আশা রোহিঙ্গাদের বড় একটি অংশ ব্যবহার হতে পারে আগামী নির্বাচনে।

তবে এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামিম আরা স্বপ্না বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রোহিঙ্গারা কোন ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছি না। কারণ রোহিঙ্গাদের অবাধে চলাফেরা করতে দেয়া হচ্ছে না। আর আমরা যারা সাধারণ মানুষ আছি টেকনাফ যাবার সময় চেক করা হয় এবং নিজের আইডি কার্ড দেখাতে হয়। সে অবস্থায় রোহিঙ্গারা কিভাবে বেড় হবে?

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান বলেন, জাতীয় নির্বাচনে যেন রোহিঙ্গারা কোনো ধরনের কাজ করতে না পারে। রোহিঙ্গারা যাতে দলীয়ভাবে কোন ধরনের সংঘর্ষে জরিত হতে না পারে সেজন্য দল থেকে সব ধরনের চেষ্টা করা হবে।

তবে রাজনৈতিক দলগুলো প্রকাশ্যে যাই বলুক ভেতরে ভেতরে রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক কাজে ব্যবহারের চেষ্টা করবেই এমন মত রয়েছে বিশ্লেষকদের।

 নগর-মহানগর থেকে আরোও সংবাদ

ই-দেশকাল

আর্কাইভ