শুক্রবার , ২৯ মার্চ ২০২৪

মো.মনিরুল আলম, কালীগঞ্জ, (গাজীপুর)ঃ
কালীগঞ্জে বহুল আলোচিত বালু ব্যবসায়ী মামুন হত্যার মামলার ৩নং সাক্ষী ও যুবদল নেতাকে  শশ্বশুর বাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্ত্রীর সাথে কলহের জেরে কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাও গ্রামের মোশারফ হোসেন নামে ওয়ার্ড যুবদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন নিহতের স্বজনরা। কিন্তু স্ত্রী দাবি করছেন তার বাড়ির লোকজন মোশারফকে হত্যা করেনি, সে হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। গত রোববার রাতে তার শশু বাড়িতে সন্তানকে দেখতে গিয়ে এ ঘটনার শিকার হন যুবদল নেতা মোশারফ হোসেন শেখ। রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর মর্গে প্রেরণ করেন। নিহত মোশারফ বড়গাও পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত আয়েজউদ্দিনের ছেলে।
নিহতের ছোট ভাই শিক্ষক মো. মোফাজ্জল হোসেন শেখ জানান, স্বামী মোশারফ হোসেনকে না জানিয়ে তার ভাইয়ের আত্মীয়র নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা এনে স্ত্রী পারভীন বেগম খরচ করে ফেলে। জানতে পেরে স্ত্রী পারভীনের সঙ্গে এ নিয়ে মোশারফের ঝগড়া হয়। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনমালিন্য হলে গত শুক্রবার পারভীন তার শিশু সন্তানকে নিয়ে বড়গাও রামুইড়াপাড়া তার বাপের বাড়ি চলে যায়। নিহতের ছোট ভাই শিক্ষক মো. মোফাজ্জল হোসেন শেখ আরও জানান, বড়গাঁওয়ের শাহজাহানের ছেলে আলামিন কিছুদিন পরপর গুন্ডা মস্তান নিয়ে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে যেতে আসতো ।  
নিহতের বড় বোন হাজেরা বেগম জানান, পারভীনের বড় বোন জামাই জিয়াউদ্দিন ফোনে মোশারফকে জানায় তার শিশু সন্তান মোস্তাকিম অসুস্থ । তা শুনে মোশারফ বড়গাও থেকে ওষধ কিনে শশুর বাড়িতে গেলে শশুর বাড়ির লোকজন তাকে পিটিয়ে হত্যা করে রাস্তায় ফেলে রাখে।
স্ত্রী পারভীন বেগম বলেন, আমরা কেউ তাকে মারধর করিনি। সে নেশা খেয়ে বাড়িতে এসে আমাকে গালমন্দ করতে থাকলে আমার বড় বোন হালিমা বেগম একটি লাঠি নিয়ে তাকে দৌড়ানি দেয়। সে ভয়ে দৌড় দিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। সে স্ট্রোক করে মারা গেছে। আমরা তাকে হত্যা করিনি।
নিহত মোশারফ হোসেন শেখ মোক্তারপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সভাপতি ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৮ মে পুলিশের উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত বড়গাও এলাকার বালু ব্যবসায়ী ও যুবলীগ কর্মী মো. মামুন ভূইয়া হত্যা মামলার ৩ নম্বর স্বাক্ষী ছিলেন মোশারফ হোসেন। এলাকা বাসীর ধারণা সে মামলার সাক্ষী থাকায় হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে ।  

 টিপস থেকে আরোও সংবাদ

ই-দেশকাল

আর্কাইভ