মঙ্গলবার , ১৬ এপ্রিল ২০২৪

‘আমরা রাস্তা-খাল পরিষ্কার করবো তবে স্থানীয়দের তদারকি হবে’

দেশকাল অনলাইন   বুধবার , ০৬ জানুয়ারী ২০২১

রাজধানীর তেজগাঁও উত্তরা মটরস থেকে কুনিপাড়া রানার্স পর্যন্ত সড়ক পরিদর্শনে ডিএনসিসি মেয়র। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘যে রাস্তা বা খাল আমরা পরিষ্কার করে দিবো, সেই খাল এবং রাস্তা স্থানীয়দের তদারকি করতে হবে। সেই অঙ্গীকার আপনাদের থেকে আমরা চাই।’

আজ বুধবার ( ৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর কুনিপাড়ায় তেজগাঁও উত্তরা মটরস থেকে কুনিপাড়া রানার্স পর্যন্ত সড়ক উদ্বোধন করতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে আমার রাস্তা করি। ফুটপাত তৈরি করি। অনেক কষ্ট করে ড্রেন থেকে ময়লা সাফ করি। আপনারা বলুন কোন এলাকার ড্রেনের ময়লা আছে আমরা সেটা প্রথমবার পরিষ্কার করে দিব। এরপর ময়লা ফেলবেন আপনারা আর আমরা বারবার পরিষ্কার করবো এটা হবে না।’

মেয়র আরো বলেন, ‘আমরা চাই এই ঢাকাকে একটি সুন্দর ঢাকায় রূপান্তরিত করতে। আমরা জানি, আমাদের অনেক সমস্যা আছে। তবে কিছু সমস্যা মানুষের তৈরি। আমরা দেখেছি কিভাবে রাস্তাগুলোকে দখল করে রাখে।

খাল পরিষ্কার ও অবৈধ দখল উচ্ছেদ সম্পর্কে আতিকুল ইসলাম বলেন, "আপনারা জানেন, আমরা এক তারিখে খালের দায়িত্ব পেয়েছি। আমি ইব্রাহিমপুর খালের সামনে যখন দাঁড়ালাম, তখন দেখি খালের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৬০ ফিট, যখন ফিতা দিয়ে মাপলাম, ওই খাল আর ৬০ ফিট নাই। ওই খাল হয়ে গেছে মাত্র ১০ ফিট। তাহলে বৃষ্টি হলে পানি যাবে কোথায়? সেই পানি বিভিন্ন রাস্তায় চলে যাবে। আমি কালশি খাল ও গোদাখালী খাল থেকে ২০০ ট্রাক ডাবের খোসা উদ্ধার করেছি। এইখান থেকে জাজিম ৩৬টি, টেলিভিশন, ফ্রিজ সবকিছু খালে পেয়েছি।

ভাষানটেকে গত দুইদিন ধরে চলমান অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, "ভাষানটেক থেকে মানিকদি রাস্তা পার হতে বের থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগতো। পকেট গেইটে একটি দোতলা বাড়ির জন্য সেখানে দীর্ঘ যানজট তৈরি হতো। আমরা সেই বাড়িটি কিনে ভেঙে দিয়েছি। এছাড়া রাস্তার দুই পাশে অবৈধ ভাবে তৈরি করা বাড়িগুলোর বর্ধিতাংশ ভেঙে দিয়েছি। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বাড়িও রেহাই পায়নি। দখলদার যেই হোক না কেন, যত শক্তিশালীই হোক না কেন, যত বড় রাজনৈতিক ব্যক্তি হোক না কেন, অবৈধভাবে দখল করে রাখবে, এটি আমি মানতে পারব না। যারা অবৈধভাবে খাল এবং রাস্তা দখল করেছেন তাদের জন্য আমাদের জিরো টলারেন্স অব্যাহত থাকবে"।

সম্প্রতি চালু হওয়া ইউটার্ন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, "আমরা টোটাল ১০টি ইউটার্ন নির্মাণ করব। ইতিপূর্বে তিনটি ইউটার্ন নির্মাণ করা হয়েছে, সম্প্রতি আরও তিনটি ইউটার্ন খুলে দেওয়া হয়েছে। আরো চারটি নির্মাণাধীন। সবগুলো ইউটার্ন চালু হলে এর সুফল পাওয়া যাবে"।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সফিউল্লাহ সফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 মিডিয়াওয়াচ থেকে আরোও সংবাদ

ই-দেশকাল

আর্কাইভ