বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব পানি দিবস ২০২১’ পালিত হচ্ছে। ‘ভ্যালুয়িং ওয়াটার’প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বিভিন্নকর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার ও বিভিন্ন পরিবশেবাদী সংগঠনগুলো।
ইউনিসেফের এক সমীক্ষা বলছে বাংলাদেশের মাত্র ৩৪ দশমিক ৬শতাংশ মানুষ পুরোপুরি নিরাপদ পানি পাচ্ছে। এ হিসেবে দেশের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ এখনওসুপেয় পানি পাচ্ছেন না। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ সমুদ্রতীরবর্তী এলাকাগুলোতে সুপেয় পানি যেন এক সোনার হরিণ। এ ছাড়া উত্তরাঞ্চল এবং পাহাড়িএলাকায় শুষ্ক মওসুমে পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়।
আমরা যারা পরিবেশবাদী সংগঠন করি আমাদের আজ দাবী পানিরদূষন,নদীর দূষন,নদীর দখল রোধ করা পাশাপাশি ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীরনাব্যতা বাড়ানোর পাশাপাশি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে কার্যকর পদক্ষেপনেওয়া। এ ছাড়া ২০৩০ সাল নাগাদ সবার জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশনব্যবস্থা নিশ্চিত করা, খরা মৌসুমে সেচ ও রাসায়নিক সারনির্ভর ধান চাষেরপরিবর্তে প্রকৃতিনির্ভর ধান চাষের উদ্যোগ নেওয়া, সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেনদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দেওয়া ও অবৈধ দখলদারির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া এবংঅপরিশোধিত শিল্প-কারখানায় বর্জ্য ও পয়ঃবর্জ্য, নৌযানের বর্জ্য, কঠিনবর্জ্য নদীতে ফেলা বন্ধ করা। এছাড়া ঢাকার আশপাশের নদীসহ অন্য সব নদী ও জলাশয় দখল, ভরাটও দূষণরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া,নদীর পানি কৃষি ও শিল্পে এবং পরিশোধনকরে খাবার পানি হিসাবে ব্যবহার করা,নদীর প্রবাহ ও নাব্য যথাযথ রাখার জন্যনদীতে পিলার সমৃদ্ধ ব্রিজের পরিবর্তে ঝুলন্ত ব্রিজ বা টানেল নির্মাণ করা এবংনিরাপদ পানি নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট আইনগুলো কঠোরভাবে প্রয়োগ করা।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ীপ্রতিবছর ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও’তে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সেখানে পানি সম্পদের জন্যএকটি বিশেষ দিন ঘোষণার দাবি তোলা হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয়এবং এরপর থেকে এ দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমশ বাড়তে থাকে ।
লেখক : সাধারন সম্পাদক ,গ্রীন এনভায়রনমেন্ট মুভমেন্ট,মানিকগঞ্জ