বৃহস্পতিবার , ২৮ মার্চ ২০২৪

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে গাছে গরু বাধাকে কেন্দ্র উভয় পক্ষের সংঘর্ষে চার জন হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি উপজেলার জীবননগরেরর কয়া গ্রামে আজ দুপুরে সংগঠিত হয়েছে বলা হলেও প্রকৃত পক্ষে ঘটনাস্থলটি মহেশপুর উপজেলার কুশোডাঙ্গা মৌজার অন্তর্গত।
ঘটনার সরেজমিনে জানা যায়, জীবনগরের উপজেলার কয়া গ্রামের  বটতলা পাড়ার তক্কেল মন্ডলের ছেলে আব্দুল করিমদের গরু সরকারী রাস্তার পার্শ্বে বট গাছের নিচে  বাধার কারনে পরিবেশ দূষনের অভিযোগ ওঠে।
একই গ্রামের আনার শেখের ছেলে রজু (২৮) করিমদের গরুর ব্যাপার নিয়ে প্রতিবাদ জানায় এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটা কাটি শুরু হয়। 
এসময় করিম ও তার ভাই রাহেল(৫০),তেলু(৩২)ও তোফাজ্জালের ছেলে মিনা(২৬) উত্তেজিত হয়ে রুজুর উপর হামলা চালায়। হামলা চালিয়ে মাথায় রক্তাক্ত জখম করেন।
প্রতিপক্ষদের হাত থেকে রক্ষা পেতে রুজু দৌড়ে বাড়িতে আশ্রয় নেয়  প্রতিপক্ষরা তার পিছু নেয় এবং বাড়িতে হামলা চালায়। 
ঘটনার এক পর্যায়ে রজু আত্মরক্ষার্থে ঘাস কাটা  কাচি তুলে এলোপাতারি ঘুড়াতে থাকে।
এতে করিমের হাতে রাহেল ও তেলুর মাথায় রক্তাক্ত জখম হয়।

লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার করে জীবননগর সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একই গ্রামের রাশেদা খাতুন,সুফিয়া বেগম  ও মনিকা খাতুন অভিন্ন ভাষায় বলেন বটতলার ছায়ায় গ্রীষ্মের দুপুরে গ্রামের লোকজন বসে ক্লান্তি দুর করেন।
কিন্তু করিমেরা তাদের গরু বাধার ফলে সেখানে পরিবেশ র্দুগন্ধের সৃষ্টি করার ফলে মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
একই ভাবে বুধবার দুপুরে সেখানে করিমদের গরু বাধা দেখে রুজু বাধন খুলে দেই।
এঘটনায় করিমরা কভাই রুজুকে বেধড়ক মার শুরু করেন। এবং টানতে টানতে কুশোডাঙ্গা ফার্মের কাদা করা জমিতে খুশে মারতে শুরু করে।
এসময় রুজু রক্তাক্ত  জখম অবস্থায় বাড়িতে  পালিয়ে  যায়।
 পরে আবার উভয় পক্ষের মধ্যে কোপাকুপি শুরু হয়।
আহত রুজু বলেন বটতলায় গরমের সময় বসে আমরা বিশ্রাম নিই।
কিন্তু করিমরা সেখানে প্রতিদিন গরু বেধে জায়গা নষ্ট করে।
 আমরা গ্রামবাসী তাদেরকে বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও  তারা সেখানে গরু বেধে রাখে।
তারা গাদ্দারী করে সেখানে গরু বেধে রাখে।
বুধবার দুপুরে সেখানে আবারও গরু বাধা দেখে আমি প্রতিবাদ করি গরুর দড়া খুলে দিই।
এতে তারা আমার ওপর ক্ষেপে গিয়ে আমাকে মারপিট করে ও মাথায় কোপ দেয়।
আমি পালিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পরও তারা আমাকে ও পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।
এসময় আমি ঘাস কাটার কাচি তুলে এলোপাতারি ঘুড়াতে থাকলে 
এমতাবস্থায় করিম, দেলু রাহেল আহত হয়।
এ ব্যাপারে সীমান্ত ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার মমিন উদ্দীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ঘটনাস্থলটি ঝিনাইদহ মহেশপুর উপজেলার কুশোডাঙ্গা মৌজার অন্তর্গত হলেও সেখানকার বাসিন্দারা আমাদের ইউনিয়নের ভোটার আহতদের মধ্যে জীবননগর সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় এখন ও পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় মামলা করেনি বলে ভুক্তভোগী পরিবার সুত্র জানায়।

 অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরোও সংবাদ

ই-দেশকাল

আর্কাইভ