শনিবার , ২০ এপ্রিল ২০২৪

নিয়ামূল হক, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
অপহরণের ১৮দির পর তৃতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্র দেব দত্তের সন্ধান মিলেছে। তবে জীবিত নয়, পাওয়া গেছে তার বস্তা বন্দি লাশ। তাও আবার দেব দত্তের বাড়ি থেকে মাত্র ২০০ গজ দুরে মিলেছে তার মরদেহ। হত্যার পর বস্তায় ভরে একটি পরিত্যাক্ত সেফটিক ট্যাংঙ্কের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়। গত ৯ জুন সকালে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় তাকে অপহরণ করা হয়। এরপর দুই দফায় অপহরণকারির মুক্তিপণ চেয়ে দেব দত্তের বাবা ও চাচাকে ফোন দেয়। সোমবার দুপুর ২টার দিকে এ লাশ পাওয়া যায়। 
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্র জানিয়েছে, নির্ভরযোগ্য একাধিক সুত্রে খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা চিথলিয়া গ্রাম ঘীরে ফেলে। এরপর পবিত্র দত্তের বাড়ি থেকে মাত্র ২০০গজ দুরে জহুরুল নামের এক ব্যাক্তির বাড়ি পাশের পরিত্যাক্ত সেফটিক ট্যাংঙ্ক খনন শুরু করে। মাটি খুড়ে ভিতর থেকে একটি পাটের বস্তা বের করে আনেন পুলিশ সদস্যরা। পরে সেটি টিউবয়েলের পানি দিয়ে পরিস্কার করে মুখ খোলা হয়। ভিতর থেকে প্রায় গলিত একটি মরদেহ বের করেন পুলিশ সদস্যরা। এরপর ছেলের লাশ সনাক্ত করেন পিতা পবিত্র দত্ত।  দেব দত্তের লাশ উদ্ধারের খবরে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।  
মিরপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানিয়েছে, মরদেহ উদ্ধারের পর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তের জন্য। পোষ্ট মোর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে। যেহেতু লাশটি গলে পচে গেছে, পোষ্ট মোর্টেমের পরই জানা যাবে কিভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। 
দেব দত্ত মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিল। দুই ভাইবোনের মধ্যে সে ছোট। একমাত্র বোন প্রতিভা ৫ম শ্রেণীতে পড়ে। বাবা পবিত্র দত্ত স্থানীয় একটি হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন। দেব অপহরণের পর ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে সন্ত্রাসীরা।  
 

 নির্বাচন ও ইসি থেকে আরোও সংবাদ

ই-দেশকাল

আর্কাইভ