শুক্রবার , ১৯ এপ্রিল ২০২৪

সফিকুল ইসলাম, লক্ষ্মীপুর:
লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চরপলোয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় স্কুল ছেড়ে পাশ্ববর্তী মসজিদে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। 
জানা যায়, গত দুই বছর আগে বিদ্যালয়ের পুরো ভবনের পলেস্তারা খসে পড়ে প্রায় সময় শিক্ষার্থীরা আহত হয়। এরপর থেকে ভবনটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। পরে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বিদ্যালয়ের পাশের মসজিদেই নিয়মিত গাদাগাদি করে চলছে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান।
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৯৪ সালে স্থাপিত বিদ্যালয়ের এক তলা ভবনটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে, দেখা দিয়েছে ফাটল। এ অবস্থায় গত ২ বছর আগে উপজেলা কর্তৃপক্ষ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা দিয়ে তালিকা করেন। এরপর উপজেলা থেকে জেলা, জেলা থেকে ঢাকায় অনেক চিঠি চালাচালি হয়েছে। এমপির ডিও লেটারও গেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রথম থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত বর্তমানে বিদ্যালয়ে একশত ৩০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। গত বছর চিলো ১’শ ৫০ জন। কক্ষের সংকট থাকায় মসজিদসহ পরিত্যক্ত একটি কক্ষে পাঠদান করার কারনেই ছাত্র-ছাত্রী কমছে বলে মনে কর কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির জানায়, বর্তমানে প্রত্যন্ত এলাকার এই বিদ্যাপিঠ নানা সমস্যায় জর্জরিত। কক্ষ সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে পরিত্যক্ত ভবনের দুইটি কক্ষ সংস্কার করে একটিতে পাঠদান ও অন্যটিতে অফিসের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ওই কক্ষে পাঠ গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে। উপজেলার সকল বিদ্যালয় উন্নয়নের কাজ হলেও আমাদের এই বিদ্যালয়টি এখন পর্যন্ত কোন উন্নয়নের কাজ হয়নি।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহেদা আক্তার জানান, মসজিদে পাঠদানে নানা সমস্যা হয়। নানা লোকে নানা কথা বলে। দুপুরের নাজাজের সময় পাঠদান বন্ধ রাখতে হয়। একই স্থানে গাদাগাদি করে তিন ক্লাস নিতে হয়। তাঁর মধ্যেও সব সময় ফলাফল শতভাগ পাশের হার আমাদের।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুন্নাহার জানান, এই ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ বিদ্যালয়ে ভবনগুলোর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অচিরেই ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন ও জরাজীর্ণ বিদ্যালয়ের ভবন মেরামতের পরিকল্পনা রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিল্পী রানী রায় বলেন, স্কুলের ব্যাপারে জানার পরই উপজেলা থেকে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে আপাতত একটি টিন সেডের ঘর নির্মানের কাজ করা হচ্ছে। এছাড়াও ওই স্কুলের জন্য আমার যা যা করার প্রয়োজন সব করব।

 উপসম্পাদকীয় থেকে আরোও সংবাদ

ই-দেশকাল

আর্কাইভ