শুক্রবার , ২৯ মার্চ ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামাজিক নিরাপত্তা বলয় কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের ভাতাসমূহ ইলেক্ট্রোনিক পদ্ধতিতে (জিটুপি-গভর্নমেন্ট টু পারসন) বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন।

আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফান্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এই কর্মসূচির আওতায় প্রবীণ, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও বিধবাসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬৭ লাখ ভাতাপ্রাপ্ত মানুষ প্রতিমাসের নির্দিষ্ট সময়ে মোবাইল ফোনে এসএসএম পাওয়ার পর সরাসরি ব্যাংক থেকে তাদের প্রাপ্ত ভাতা তুলতে পারবেন।

সরকার চলতি অর্থবছর সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামাজিক নিরাপত্তাবলয় কর্মসূচির আওতায় ৪ হাজার ৩শ’ ১৭ কোটি টাকা বেদে, হরিজন, চা শ্রমিক এবং দূরারোগ্য ব্যাধি যেমন ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সমস্যায় আক্রান্তদের সহযোগিতার জন্য বরাদ্দ করেছে।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জিল্লার রহমান প্রকল্পের অর্থ প্রদান সম্পর্কিত একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং গোপালগঞ্জ, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জ এবং চাপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসকগণ ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আরও ৭টি জেলা অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশ হবে দারিদ্র্যমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে আমরা গড়ে তুলবো। প্রতিটি গ্রামে মানুষ শহরের মতো সুবিধা পাবে।’

তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় সরকারি ভাতা দেওয়ার পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। যাতে দরিদ্র মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে। তাদের সম্পদ ও টাকা পয়সা কেউ কেড়ে নিতে না পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগে ভাতার টাকা ব্যাংক ও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে যেত। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। আজ আমরা সেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে যারা যা প্রাপ্য তার কাছেই পৌঁছে দেবো। কেউ আর কমিশন খেতে পারবে না। সরাসরি টাকা আপনার হাতে পৌঁছে যাবে।’

তিনি বলেন, টাকা প্রাপকদের নামের একটি ডাটাবেজ করে রাখা হবে, যাতে কেউ তাদের নিয়ে কোনরকম খেলা খেলতে না পারেন। সরকারের পক্ষ থেকে ব্যক্তির কাছে অর্থাৎ ‘গভর্নমেন্ট টু পারসন’ এই ভাতা পৌঁছে যাবে।

 সারাবাংলা থেকে আরোও সংবাদ

ই-দেশকাল

আর্কাইভ