শুক্রবার , ২৯ মার্চ ২০২৪

আবু হোসেন,ডিমলা(নীলফামারী)-
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় বুড়ি তিস্তা নদীর ডানতীর রক্ষা বাঁধের গত বছরের আগস্টের বন্যায় প্রায় ৩শ মিটার বিধ্বস্ত হয়েছিল। বাঁধ ভেঙে নদীর পানি ঢুকে ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান গ্রামসহ পাশের জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের চাওড়াডাঙ্গি গ্রামের প্রায় ২শ একর জমির ফসল নষ্ট হয়। ওই এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ লোকজন ছুটে গিয়েছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃপক্ষের কাছে। তাদের দাবি ছিল বাঁধটি শক্ত ও মজুদকরে সংস্কার করে দিতে হবে। কৃষকদের অভিযোগ, তাদের কাছে একাধিকবার ধরনা দেওয়ার পরেও বাঁধ সংস্কারের কোন ব্যবস্থা করেনি তারা। এ ঘটনার এক বছর অতিবাহিত হলেও বাঁধটি সংস্কারতো দুরের কথা, বিধ্বস্ত বাঁধটি মেরামত পর্যন্ত করা হয়নি।  ফলে এবার ওই বাঁধটি স্বেচ্ছাশ্রমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা মেরামতে নিজেরাই নেমে পড়েছে।
সোমবার সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা যায় কৃষকরা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা জানায় আমরা নিরূপায় হয়ে নিজেদের মধ্যে চাঁদা সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধের কাজ শুরু করেছি। তারা বিধ্বস্ত স্থানে এরই মধ্যে বাঁশের খুঁটি স্থাপন করেছে। এরপর খুঁটির সঙ্গে মাটি ও বালু ধরে রাখার জন্য জাল টানিয়ে জমির বালি অপসারণ করে সেখানে ফেলছে। বাঁধটি নির্মানে বালু অপসারনের জন্য ৪টি মেশিন ও ৫০জন কৃষক সেচ্ছাশ্রমে কাজ করে যাচ্ছে।
কাজের অগ্রগতির ব্যাপারে সাতজান গ্রামের কৃষক ইয়াকুব আলী (৫৫) বলেন, গত শুক্রবার থেকে কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারব। 
নাউতরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম লেলিন বলেন, এলাকার কৃষকদের স্বেচ্ছাশ্রমে ওই বাঁধ মেরামতে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করেছি। তা ছাড়া প্রতিনিয়ত কাজের খোঁজখবর রাখছি। তিনি ব্যাক্তিগত ভাবে ৫ হাজার টাকা প্রদান করেছেন মর্মে জানায়।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুর হক বলেন, বাঁধটি মেরামত করার ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজটি করা হয়নি।

 নগর-মহানগর থেকে আরোও সংবাদ

ই-দেশকাল

আর্কাইভ