শনিবার , ২০ এপ্রিল ২০২৪

ক্যাসিনো: চার ক্লাবে অভিযানে পুলিশ

দেশকাল অনলাইন   রবিবার , ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

জুয়া-ক্যাসিনো বন্ধে ঢাকার কয়েকটি ক্লাবে র‌্যাবের অভিযানের পর এবার পুলিশ একসঙ্গে চার ক্লাবে অভিযান শুরু করেছে।
পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার শিবলী নোমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার দুপুরে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে একযোগে এই অভিযান শুরু হয়েছে।

এই অভিযানের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ উপ কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, “এসব ক্লাবে অবৈধভাবে জুয়া, ক্যাসিনো চলতো এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান।” দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাবে অভিযানের প্রাথমিক যে ছবি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম পেয়েছে, সেখানে রুলেট ও পোকার টেবিল ছাড়াও বিভিন্ন উপকরণ ঘিরে পুলিশ কর্মকর্তাদের দেখা গেছে।

গত সপ্তাহে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে যুবলীগ নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ঢাকায় যুবলীগ নেতাদের ‘৬০টি ক্যাসিনো চালানোর’ খবর আসে সংবাদমাধ্যমে।

এ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই গত বুধবার বিকালে গুলশান ২ নম্বরের ৫৯ নম্বর সড়কে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া বাসা এবং ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে একযোগে অভিযান চালায় র্যাব। শাজাহানপুরের রেলওয়ে কলোনিতে বেড়ে ওঠা খালেদ ফকিরাপুলের ওই ক্লাবের সভাপতি।

কয়েক ঘণ্টার অভিযানে ওই ক্লাবে ক্যাসিনো বসিয়ে জুয়ার আড্ডা চালানোর বিপুল আয়োজন পাওয়া যায়। সেখান থেকে ২৪ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়। আর গুলশানের বাসা থেকে খালেদকে গ্রেপ্তারের পর তার বাসায় ৫৮৫টি ইয়াবা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং অবৈধ অস্ত্র পাওয়ার কথা জানায় র্যাব।

ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবের পাশাপাশি ওই এলাকার ওয়ান্ডারার্স ক্লাব, বঙ্গবন্ধু এভিনিউর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র এবং বনানীর আহমেদ টাওয়ারে গড়ে তোলা একটি ক্যাসিনোতেও র্যাবের অভিযান চলে। দেশের বিভিন্ন ক্লাবে অবৈধভাবে জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে সংবাদ মাধ্যমে এসেছে। এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে। তবে বাংলাদেশেও যে স্লট মেশিন, রুলেট টেবিলের মত সরঞ্জাম নিয়ে পুরোদত্তর ক্যাসিনো চলে, সে খবর সাধারণ মানুষের কাছে নতুন।

পুলিশের নাকের ডগায় কীভাবে এসব ক্যাসিনো এতদিন চলে আসছে সেই প্রশ্ন ওঠে ইয়ংমেনস ক্লাবে র‌্যাবের অভিযানের পর। এর দুই দিনের মাথায় শুক্রবার ঢাকার কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ও ধানমণ্ডি ক্লাবেও অভিযান চালায় র্যাব। কলাবাগান ক্রীড়াচক্র থেকে ক্লাব সভাপতি কৃষক লীগ নেতা সফিকুল আলম ফিরোজসহ পাঁচজনকে অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। ধানমণ্ডি ক্লাবের বারে কী পরিমাণ মদের মজুদ আছে, সেই হিসাব জমা দিতে বলা হয়।

শনিবার চট্টগ্রামের পাঁচটি ক্লাবে একযোগে অভিযান শেষে তিনটি ক্লাবে জুয়ার আসর চালানোর প্রমাণ পাওয়ার কথা জানানো হয় র‌্যাবের পক্ষ থেকে। - বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

 টিপস থেকে আরোও সংবাদ

ই-দেশকাল

আর্কাইভ