শুক্রবার , ২৯ মার্চ ২০২৪

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দেশের মাটিতে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিং এবং সৌম্য সরকারের দারুণ ব্যাটিংয়েই বাংলাদেশ ২-১-এ সিরিজ জিতেছিল।

ওই সিরিজের তিন ম্যাচে সৌম্যর রান ছিল ২৭, ৮৮* ও ৯০। মোস্তাফিজ পেয়েছিলেন তিন ম্যাচে পাঁচ উইকেট।

অথচ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এখনও ভালো কিছু করতে পারেননি সৌম্য, মোস্তাফিজ ও সাব্বির রহমানরা।

তবে তরুণদের ওপর আস্থা হারাচ্ছেন না অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা। কিম্বার্লিতে আজ তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলবে বাংলাদেশ।

ওয়ানডেতে সর্বশেষ সিরিজগুলোতে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেই সফল হয়েছে বাংলাদেশ। এবার এবি ডি ভিলিয়ার্সদের দেশে গিয়েও সেই আগ্রাসী মানসিকতা দেখাতে চান মাশরাফিরা।

কাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে রক্ষণাত্মক ক্রিকেটের প্রশ্নই আসে না। ওদের হারানোর জন্য নিজেদের দিনের অপেক্ষায় থাকব এমনটা ভাবলে আমরা সুযোগই পাব না। এ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রথম বল থেকেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে হবে। এ কন্ডিশনে খেলা উপমহাদেশের দল হিসেবে আমাদের জন্য খুবই কঠিন। কিন্তু এখান থেকে বেরোতে পারি একমাত্র আক্রমণাত্মক খেলে।’

টেস্ট সিরিজে ভালো খেলতে না পারার কারণে সৌম্য-মোস্তাফিজদের নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। কিন্তু মাশরাফি তাদের ওপর কোনো চাপ না দিয়ে আস্থা রাখতে চান।

তিনি বলেন, ‘আমি তরুণদের ওপর চাপ দিতে চাই না। অনেক নেতিবাচক কথা হবে, সেটাই স্বাভাবিক। একজন খেলোয়াড় হিসেবে সব মেনে নিয়েই এগোতে হবে। ভালো-খারাপ দুই ধরনের সময়ই যাবে। তরুণদের এটা শেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘তারা দু-তিন বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। দেশের বাইরে কোনো কিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। অবশ্যই চাই মানসিকভাবে তরুণরা শক্ত হোক।’

গত কয়েক বছরে দেশের বাইরে দলের সাফল্যে সিনিয়র ক্রিকেটারদের অবদানই বেশি। এবার সিনিয়রদের সঙ্গে তরুণদেরও জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় মাশরাফি।

দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের জন্য সুবিধা থাকে। উইকেটগুলো ৩৫০-৪০০ রানের হয়। এবারও উইকেটে অনেক রান থাকবে। দ্রুত রান তুলতে না পারলে এখানে জয় পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

প্রস্তুতি ম্যাচেও দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে ছয় উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে তামিম ইকবাল আজ খেলতে পারবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। বড় স্কোর গড়তে টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের বড় ভূমিকা নিতে হবে বলেও মনে করছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

তবে দেশের সেরা ব্যাটসম্যান তামিম খেলতে পারলে সেটা বাংলাদেশের জন্য বড় স্বস্তি হয়ে আসবে। তামিমের জন্য শেষ পর্যন্ত আশায় থাকবে বাংলাদেশ।

মাশরাফি বলেন, ‘আমরা ইতিবাচক, আশা করছি তামিম ফিট হয়ে ফিরবে।’

 ক্রীড়াঙ্গন থেকে আরোও সংবাদ

ই-দেশকাল

আর্কাইভ