শুক্রবার , ২৯ মার্চ ২০২৪

ওষুধখাতে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী ইন্দোনেশিয়া

দেশকাল অনলাইন   মঙ্গলবার , ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০

ওষুধখাতে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রিনা প্রেথিয়াসমিয়ারসি সোমর্নো। একইসঙ্গে ভালোমানের কফি বাংলাদেশে রপ্তানিতে আগ্রহ দেখিয়েছে দেশটি।

মঙ্গলবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, চাল ও আলুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ ইন্দোনেশিয়া। ২০১৮ সাল থেকে তাদের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৩০০ গুণ। ইন্দোনেশিয়ার জনগণের খাদ্যাভাস বাংলাদেশের মতো। দেশটি শাক-সবজি উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং কিছু পরিমাণ রপ্তানি করে থাকে।

রাষ্ট্রদূত কৃষিমন্ত্রীকে ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেন, খুব ভালোমানের কফি উৎপন্ন করে থাকে এখানে। বাংলাদেশে কফি রপ্তানিতে আগ্রহী তারা। দেশটি ২০১৮ সালে মোট রপ্তানি করে ৩০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তার মধ্যে শুধু কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি করেছে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ফুল রপ্তানি করে মাসে ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুবই ভালো। বিশ্বের অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ ইন্দোনেশিয়া ও তার জনগণের প্রতি খুবই ইতিবাচক ধারণা পোষণ করে। বাংলাদেশও গত দুই দশকের চেয়ে এখন অনেক বেশি এগিয়ে আছে। আসিয়ানের নেতৃস্থানীয় দেশ হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগও বাংলাদেশের জন্য বড় সহায়ক হতে পারে। বাংলাদেশেও বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে। মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে বাংলাদেশ।

এসময় কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গুরুত্ব এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলের বৈদেশিক বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরেন এবং ইন্দোনেশিয়ার উদ্যোক্তাদের কৃষিখাতসহ অন্যান্য খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে আহ্বান জানান।

 অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরোও সংবাদ

ই-দেশকাল

আর্কাইভ