ডোমার, নীলফামারী সংবাদদাতা:
আজ (১৫ ফেব্রুয়ারি) নীলফামারী জেলার ডোমারে আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধন করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদবোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নীলফামারী ১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার; প্রধান বন সংরক্ষক মোহাম্মদ সফিউল আলম চৌধুরী; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী; নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী ও বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
উদবোধনী বক্তব্যে বন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, বাঁশ চাষের সম্প্রসারণ ও ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে নীলফামারীতে বাঁশ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে। এ কেন্দ্রে সহজ ও সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে বাঁশ চাষ, বাঁশ ও বাঁশজাতপণ্যের মান বাড়ানো , বাঁশ সংরক্ষণ করে মূল্যবান ও আর্কষণীয় পণ্য তৈরিকরণ এবং বাজারজাতকরণের বিষয়ে চাষীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এছাড়া এ কেন্দ্রে বাঁশঝাড় ব্যবস্থাপনা ও রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগে বাঁশ, কাঠ, ছন ইত্যাদির ব্যবহারিক আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণও দেয়া হবে। সঠিক ব্যবস্থাপনা ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এ অঞ্চলে বাঁশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে প্রত্যাশা করে বন মন্ত্রী বলেন, আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে এ অঞ্চলের বেকারত্ব দুর ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।
বনমন্ত্রী বলেন, অতীতে বাসগৃহ নির্মাণসহ গৃহস্থালী কাজে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য তৈরিতে বাঁশ ব্যবহৃত হতো। বর্তমানে কাঠ এবং প্লাস্টিক সামগ্রী সেই স্থান দখল করে নিয়েছে । কাঠের বহুল ব্যবহারের ফলে অধিক হারে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। আর ক্ষতিকর প্লাস্টিকের বহুল ব্যবহারের ফলে আজ পরিবেশ দূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। তিনি বলেন, গবেষণা, বাঁশ ব্যবস্থাপনা ও চাষীদের বাঁশ চাষে উদবুদ্ধ করার মাধ্যমে বাঁশের ব্যবহার বৃদ্ধি করা সম্ভব হলে বৃক্ষনিধন ও ক্ষতিকর প্লাস্টিকের ব্যবহার অনেকাংশে কমে যাবে।
উল্লেখ্য, ডোমার উপজেলা পরিষদের নিকটে বন বিভাগের দুই একর জমিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রামের বাস্তবায়নে ১৮ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়। কেন্দ্রটিতে রয়েছে ল্যাবরেটরি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ একটি চারতলা অফিস ভবন