মঙ্গলবার , ১৬ এপ্রিল ২০২৪

মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও মগের অত্যাচার নির্যাতনের দু’মাস পার হলেও সেদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসা কিছুতেই থামছে না। এদিকে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে এমবিসি কার্ড।

এ কার্ড নিতে তাদের বাধ্য করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা। এমবিসি হচ্ছে এমন একটি কার্ড, যার দ্বারা রোহিঙ্গারা বাঙালি হিসেবে পরিচিত হবে। এটি গ্রহণ করতে রোহিঙ্গাদের নানাভাবে বাধ্য করা হচ্ছে।

শনিবার ভোররাত থেকে রবিবার পর্যন্ত শাহপরীরদ্বীপের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে ৭ শতাধিক রোহিঙ্গা। রবিবার সকাল থেকে শাহপরীর দ্বীপ এলাকা হয়ে নৌকায় ও হেঁটে হারিয়াখালী অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পে এসেছে তারা। সেনা ক্যাম্পে মানবিক সহায়তার পর তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয়। সাবরাং হারিয়াখালী অস্থায়ী চেকপোস্টে দায়িত্বরত টেকনাফ মডেল থানার এসআই আশিকুর রহমান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মংডু নয়াপাড়া এলাকার মৃত ফজল আহমদের ছেলে গোশ মোহাম্মদ জানান, সে দেশে সহিংসতা শুরু হলে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এতদিন তিন সন্তানসহ ওপারে ছিলেন তিনি।

সে দেশে চাষাবাদসহ বিভিন্ন ক্ষেতখামার ছিল। কিন্তু ক্ষেতখামারে যাতায়াতে বাধা এবং নির্যাতন এখনো অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে তার ছেলে কেফায়েতুল্লাহকেও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাই এপারে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, সে দেশে যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি সাজানোর জন্য এমবিসি কার্ড দেওয়া হচ্ছে। এ কার্ড রোহিঙ্গারা নিতে অনীহা দেখালে শুরু হয় নির্যাতন। এ কার্ডের ভয়ে সে দেশে থাকা অনেক রোহিঙ্গা বাড়িঘর ছেড়ে বন-জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। কোনো রোহিঙ্গা ছেলে বা মেয়ে পেলে তাকে আটকে রেখে তার পরিবারকে এ কার্ড নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। ফলে রাখাইনে এখন রোহিঙ্গাদের জন্য আরেকটি আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে এই এমবিসি কার্ড।

 নির্বাচন ও ইসি থেকে আরোও সংবাদ

ই-দেশকাল

আর্কাইভ