ঢাকা: জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয় বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, র্যাব সব সময় জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে দৃঢ়ভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
শুক্রবার (১ জুলাই) গুলশানের হলি আর্টিজান হামলার ষষ্ঠ বার্ষিকী উপলক্ষে দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হলি আর্টিজান হামলায় তৎকালীন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রবিউল ও বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন। তাদের স্মরণে গুলশান মডেল থানার সামনে দীপ্ত শপথ নামে এই দুই অফিসারের ভাস্কর্য বানানো হয়। প্রতি বছর হলি আর্টিজান হামলার বার্ষিকীতে দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ছয় বছর আগে হলি আর্টিজানের মর্মান্তিক ঘটনায় তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জন নিহত হন। এ ঘটনায় দায়িত্ব পালনের সময় দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে দৃঢ়ভাবে দায়িত্ব পালন করছে র্যাব। সিলেটে জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযানে নিহত হয়েছেন র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান কর্নেল আজাদ। তার রুহের মাগফিরাত কামনা এবং তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান র্যাবের ডিজি।
র্যাব এই পর্যন্ত ৩ হাজার জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, র্যাব আজ পর্যন্ত ৩ হাজার জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছে। হলি আর্টিজানের পর আমরা ১ হাজার ৫০০ এর বেশি জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তার জঙ্গিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মূল পরিকল্পনাকারী আমির সারোয়ার জাহান, অর্থায়ন ও পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত শরিফুল ইসলাম খালেক ও মামনুর রশিদ রিপন।
প্রসঙ্গত, গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় নৃশংস জঙ্গি হামলার ছয় বছর পূর্তি আজ । এদিন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ ও নৃশংস জঙ্গি হামলায় ইতালির ৯ জন, জাপানের সাত জন, ভারতীয় একজন ও বাংলাদেশি তিনজন নাগরিকসহ ২২ জনকে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। এছাড়া ঘটনাস্থলে জিম্মি অবস্থায় থাকা দেশি-বিদেশি নাগরিক ও বেকারির স্টাফসহ প্রায় ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল।