অনুপম মল্লিক আদিত্য, জবি প্রতিনিধি: গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার প্রথম ধাপে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রে পরীক্ষা দিবেন ১২ হাজার পরিক্ষার্থী। তবে পরীক্ষার্থীরা জবি কেন্দ্রে পৌঁছাতে যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পুরান ঢাকার জনবহুল এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল হওয়ায় এর সামনের রাস্তায় যানজট লেগে থাকে নিয়মিতই। গুলিস্তান থেকে সদরঘাট রোডে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় কেন্দ্রে পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে সদরঘাট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।গণপরিবহনের বাসগুলোকে রায়সাহেব বাজার মোড় পর্যন্ত চলাচলের নির্দেশ দেয়া হলেও মানেনি তারা। চলছে সদরঘাট পর্যন্ত। এতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি চরমে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরাও হিমশিম খাচ্ছেন যানজট নিরসনে।
ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা মিরপুর বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী সুজন মাহমুদ বলেন, মিরপুর থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত আসতে আমার প্রায় ৩ ঘন্টা সময় লেগেছে। গুলিস্তান থেকে জবিতে আসতে আরও ১ ঘন্টা, রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল। সকাল সাড়ে সাতটায় বাসা থেকে বের হয়েছি, মাত্র পৌঁছালাম। যানজট নিরসনে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে আমাদের ভোগান্তি কম হতো।
আরেক ভর্তি পরীক্ষার্থী মাইলস্টোন কলেজের শিক্ষার্থী রায়হান বলেন, পরীক্ষাটা শুক্রবারে হলে ভালো হতো। রাস্তায় এখন প্রচুর যানযট। উত্তরা থেকে পুরান ঢাকা আসতে আসতেই প্রায় অসুস্থ হয়ে গেছি। এতোটা সময় তীব্র যানজটে বাসে আসা অনেক ভোগান্তির।
ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা সুমনা নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, মালিবাগ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে আমাকে অনেক ভোগান্তিতে পরতে হয়েছে। রাস্তায় অনেক যানজট। গুলিস্তান আসার পর এদিকে আর ঢুকাই যায়না। বাসের পাশাপাশি রিক্সা রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি করেছে।
যানজটের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, সমাধানের জন্য আমি আবারও দায়িত্বপ্রাপ্তদের সাথে কথা বলছি।
তবে যানজট রোধের ব্যাপারে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা মহিউদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমাদের কোন প্রকার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।