রবিবার , ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সে যে চলে গেল

জাকির এইচ.তালুকদার:   বুধবার , ৩১ আগষ্ট ২০২২

সে যে চলে গেল বলে গেল না

সে যে কোথায় গেল ফিরে  এলো না।

বছরের সারাটা মাস কেটে যায়। কখনও ব্যস্ততায় কখনওঅলসতায়। কেবল শেষ হতে চায় না এই মাসটি,আগস্ট। ক্যালেন্ডারের পাতা দেখতেদেখতে চোখ স্হির হয়ে যায় শেষ দিনটিতে। অর্থাত ৩১ আগস্ট।১৯৮৯ থেকে ২০২২ তেত্রিশটিবছর পার হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আরকিচেকচার বিভাগথেকে সদ্য পাশ করা টগবগে তরুন অকালে চলে গেল। মা বাবার পৃথিবী শূন্য করে দিল। ভাই-বোনদের চলার পথকে অশ্রু সিক্ত করে দিল।একবারও ভাবলো না কে কি আঁকড়ে বেচেথাকবে।শুধু নিজের খেয়ালে সাড়ে তিনহাত একটা ঘরের বাসিন্দা হয়ে রইল।

শুক্রবার দেখতে যেতাম আজিমপুর কবরস্থানে। ডালিম  ফুল আর ঝুমকো জবা সবুজ ঘাসের মাঝে নিজেদেরসাজিয়ে রাখতো। অপূব এক পরিবেশ প্রকৃতি তৈরি করে ছিল । বাবা মা'রদোয়া শুনতে পেত কি না জানি না। তবে মৌলভি সাহেব বলতেন বাবা মা'রদোয়া সন্তানের আত্মাকে শান্তি দেয়।

পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বোঝা বাবাকে ক্লান্ত অবসন্ন করেদিল। ফেলে যাওয়া ডিভাইসগুলো ঝেরে মুছে আবারও সযত্নে গুছিয়ে রাখাহতো।কাপড় জামা জুতো বিশেষ যত্নে আলমারি বম্দী হলো। সারা বাড়ি ময় স্মৃতিগুলোচিরস্থায়ী হয়ে রইল।

বিয়ের পর আমি অন্য বাড়িতে চলে গেলাম। পেলাম একটা  চিরকুেট লেখা " ক্যালকুলেটর।বার বার ছুয়ে দেখি, মনে হয় এইতো সেদিন নতুন কলমটা দিয়ে লিখেছিল।  পরীক্ষার সময় পড়া শেষ করে, ঘুমুতেযাবার আগে মা'র জন্য চিরকুট রাখতো গ্যাসের চুলার পাশে " আমাকে ৭টায় ডেকে দিবে

ছাত্র জীবনেই আয় করতো ছোট ছোট কাজ করে। সেই টাকায়মা-কে  ছাই রঙ লাল পেড়ে শাড়ি কিনেদিয়েছিল।মা পরে পড়বে বলে রেখে দিয়েছিল। শাড়ি টা না পরার কস্ট মা আজও ভুলেনি।

জিনিসগুলো মা রেখেছে নিজের ঘরে।এরপর এ ঘরে কে থাকবেআল্লাহ জানেন। সে কি রাখবে এগুলো সযত্নে। অজানা আশঙ্কায় বুকটা কেঁপে উঠে।

 

 

 

 মুক্তবাক থেকে আরোও সংবাদ

ই-দেশকাল

আর্কাইভ