চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ুর মধ্যে কাটিয়েছেন ঢাকা নগরবাসী। জানুয়ারিতে ৯ দিনই বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ ধারা অব্যাহত রয়েছে।
ঢাকা শনিবারও (৪ মার্চ) ছিল দূষণের শীর্ষ অবস্থানে। এর আগের দুদিন (বৃহস্পতি ও শুক্রবার) সকালেও দূষণের শীর্ষে ছিল এ নগর। শনিবার সকাল ১০টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ২১৪। এ পরিস্থিতি খুব অস্বাস্থ্যকর। আর ২০৩ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণের দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারতের মুম্বাই।
শনিবার সকাল ১০টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই-বায়ুর মানসূচক) তালিকার তৃতীয় স্থানে ছিল চীনের বেইজিংয়ের স্কোর ১৯৭। চতুর্থ অবস্থানে থাকা থাইল্যান্ডের চিয়াংমাইয়ের স্কোর ১৯৬। এরপর আছে পাকিস্তানের লাহোর স্কোর ১৯১; চীনের উহানে স্কোর ১৮৭, নেপালের কাঠমান্ডুর স্কোর ১৭৭।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বায়ু কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না তা জানায়।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।
একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি বছরের এই চার মাস ঢাকার বায়ু বেশি দূষিত থাকে। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে বায়ুর মান থাকে সবচেয়ে বেশি খারাপ।