ঢাকা : দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘রিজুভা মিস টিন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৩।’ রিজুভা ও রিয়েল হি্রোস এক্সপো অ্যান্ড কমিউনিকেশন এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এবারের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী নুসরাত মেঘলা। প্রথম রানারআপ যাযীবা, দ্বিতীয় রানারআপ অহনা, চতুর্থ ইস্টার ও পঞ্চম হ্রৃদীতী।
ভারত, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ‘মিস টিন ইন্টারন্যাশনাল’ আয়োজন করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের জন্য এটি এবারেই প্রথম। কিশোরীদেরকে নিয়ে এ ধরণের ‘ট্যালেন্ট হান্ট’ প্রতিযোগিতা চ্যালেঞ্জিং বিষয়। এ ধরণের প্রতিযোগিতার আয়োজনকে সফল করতে নিরলস কাজ করেছেন মালা খন্দকার ও ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন।
রিজুভার কর্ণধার ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন পেশায় একজন ত্বক বিশেষজ্ঞ। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন ধরনের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা, ন্যাশনাল এবং ইন্টারন্যাশনাল প্রতিযোগিতার সঙ্গে সংযুক্ত আছেন।
ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন বলেন, ‘আমি যখন কিশোরী তখন থেকেই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার প্রতি একটা আলাদা ধরনের দুর্বলতা ছিল। কিন্তু আমাদের দেশে যেহেতু তখন সেভাবে এ ধরণের প্রতিযোগিতা হয়নি বা অংশগ্রহণের সুযোগও ছিল না, তবে সময়ের সাথে আমি আমার পেশাকে এই সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার সাথে সম্পৃক্ত করতে পেরেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘স্বপ্ন দেখার কোনো শেষ নেই, স্বপ্ন যদি আমি দেখতে থাকি এবং এর উপর যদি আমি অনুশীলন করতে থাকি আমার স্বপ্ন একদিন পূরণ হবেই। আজ আমরা ছোট পরিসরে শুরু করছি, কিন্তু একদিন এই মিস টিন ইন্টারন্যাশনাল এগিয়ে যাবে বহুদূর।
কিশোরী অবস্থায় স্বপ্ন দেখা শুরু আমার, আর স্বপ্ন পূরণের একটি অধ্যায় শুরু তখনই যখন এই প্রতিযোগিতা আমরা ছোট পরিসরে হলেও শুরু করতে পেরেছি এবং বাস্তবায়ন তখনই যখন আমাদের মেয়ে বিশ্বের দরবারে আমাদের দেশকে তুলে ধরবে। ক্রাউন হচ্ছে যে কোনো পেজেন্টেরই একটি লক্ষ্য কিন্তু আমাদের লক্ষ্য এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের দরবারে নিজের দেশকে তুলে ধরা, নিজের প্রতিভাকে তুলে ধরা।’
এবারের ‘রিজুভা মিস টিন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ২০২৩’ প্রতিযোগিতায় প্রধান বিচারক ছিলেন প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মুকিত মজুমদার বাবু, জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী শাফিন আহমেদ, অভিনেত্রী অরুনা বিশ্বাস, অভিনেত্রী স্বাগতা, মুনজেরিন অবনী, তওহীদা তিফা, ড. লায়লা নুর ই জনীন, মুমতাহিনা হাসনাত রিতু এবং সিলভী মাহমুদ বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন।
এছাড়াও ছিলেন ‘মিস টিন ইন্টারন্যাশনাল’-এর আন্তর্জাতিক বিজয়ী NGÖ NGOC GIA HAN এবং ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ক্রিস গাংগওয়ার।