গত কয়েকদিন ধরেই মারাত্মক দূষণের কবলে ছিল দিল্লি। এমন পরিস্থিতিতে দিল্লি সরকার কৃত্রিম বৃষ্টির প্রস্তুতি নিয়েছিল। কথা ২০ এবং ২১ নভেম্বরের দিকে দিল্লিতে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত করানো হবে। তবে তার আগেই প্রাকৃতিক বৃষ্টিতে ভিজল দিল্লি।
শুক্রবার রাতের এ বৃষ্টি সেখানকার মানুষের জন্য স্বস্তি নিয়ে এসেছে। রাতভর বৃষ্টিপাতের কারণে বাতাসে দূষণের মাত্রাও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে দূষণের মাত্রা ছিল প্রায় ৫০০। তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৭২-এ।
এর আগে দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই জানিয়েছিলেন, ২০ থেকে ২১ নভেম্বর দিল্লিতে দূষণের মাত্রা কমাতে কৃত্রিম ডিভাইস ব্যবহার করে বৃষ্টি নামানো হবে।
দিল্লির বাতাসের মান অত্যন্ত খারাপ থাকায় গত কয়েক দিন ধরে একেবারে নীচু থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সব ক্লাস অনলাইনে করার নির্দেশ দিয়েছিল কেজরিওয়াল সরকার। ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত স্কুলগুলোতে আগাম শীতের ছুটি দেওয়া হচ্ছে। সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে শিশুরা যে ছুটি পেয়ে থাকে এটি সেই ছুটিরই অংশ। পরে শীতের ছুটির সময়ে দিন কমিয়ে দেওয়া হবে। শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়।
এরই মধ্যে নাসার একটি উপগ্রহ চিত্রে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা গেছে। উপগ্রহে ধরা পড়া সেই ছবিতে দেখা গেছে, উত্তরে পাঞ্জাব থেকে পূর্বে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ধোঁয়াশার চাদর বিস্তৃত রয়েছে। দিল্লির এই ভয়াবহ দূষণের দায় গিয়ে পড়েছে মূলত পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সরকারের ওপরে।
এদিকে গতরাতের বৃষ্টির পর আম আদমি পার্টির নেতা সোমনাথ ভারতী বলেছেন, দিল্লিতে বৃষ্টি হচ্ছে, এটা কৃত্রিম বৃষ্টি নয়, বৃষ্টি পাঠিয়েছেন ঈশ্বর। ভগবান সবসময় অরবিন্দজি এবং আম আদমি পার্টির সঙ্গে আছেন।