ভারতে চলমান ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরে আজ নিজেদের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ দিয়েই দীর্ঘ বর্ণিল বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হতে চলেছে টাইগার শিবিরের দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের।
শনিবার (১১ নভেম্বর) পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই শেষ ম্যাচ খেলবেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় শুরু হবে ম্যাচটি। কিন্তু বিদায় বেলাতেও দলের অনুশীলনে সবচেয়ে সিরিয়াস ছিলেন তারাই।
এই ম্যাচেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারেরও সমাপ্তি হতে পারে মাহমুদউল্লাহর। তাই পুনের অনুশীলনে কিছুটা সময় নিয়ে যান তিনি। বাকি সতীর্থরা যখন প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, তখন নির্ভার সাইলেন্ট কিলার। দেড় যুগের ক্রিকেট ক্যারিয়ার তবে কী সূর্যাস্তের অপেক্ষায়।
পুনের নান্দনিক স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন এমন গুঞ্জন ডালাপালা মেলতে শুরু করেছে। মাহমুদউল্লাহ নিশ্চুপ, নিরব বিসিবিও। সত্য-মিথ্যা যাই হোক না কেন, অন্তত শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ এনিয়ে ধোঁয়াশা নেই।
যে মাহমুদউল্লাহর বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা সবচেয়ে বড় চমক ছিলো সেই তিনি ব্যাট হাতে সবার উপরে। ৬ ইনিংসে করেছেন ২৯৬ রান। ওয়াংখেড়ের সেঞ্চুরি যেন অজস্র সমালোচনার জবাব। শেষ বিকেলে বিগ শট খেলার চেষ্টায় মাহমুদউল্লাহ। ২২ গজে দাঁড়িয়ে মিড অফ, মিড অনের উপর দিয়ে বলগুলো করেছেন সীমানা ছাড়া।
এমনিতেও বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি তিন সেঞ্চুরির মালিক মাহমুদউল্লাহ। ২১ ইনিংসে তার উইলোয় ৯১২ রান। অ্যাডিলেডের সেই কাব্যিক ইনিংস যে এখনো জ্বলজ্বলে।
শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচের অপেক্ষায় মুশফিকুর রহিমও। এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মের কাছে যিনি মিস্টার ডিপেন্ডেবল। বৈশ্বিক আসরে ৩৬ ইনিংসে যার রান হাজারের উপর। ভারত বিশ্বকাপে নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন মুশি। শুরুটা যতটা রঙিন ততটা বিবর্ণ মাঝের পথচলা। শেষটা রাঙাতে পুনের উইকেটে নিবেদনের কমতি রাখেননি মুশফিক।