হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ি ২০২০ সালের ৪ থেকে ৯ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ৫ দিন অভিযান চালিয়ে ৩ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর কেন বাকিদুই হাজারের অধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়নি তা জেলা প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছেজনগণ জানতে চায়। সম্প্রতি কর্ণফুলী তীরে আবারও দখল কার্যক্রম চলমান থাকলেও জেলা প্রশাসনদেখেও না দেখার ভান করছে। বক্তারা আরো বলেন, ৯২ শতাংশ অর্থনীতির সঞ্চালক কর্ণফুলী নদীরসকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর উভয় তীরেটিকে থাকা প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট ৫৫৮ প্রকারের গাছ রক্ষা করতে হবে। শুধু তাই নয় হাইকোর্টেরআদেশ অনুযায়ী ২১৮১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করার কারণে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন এবংবন্দর কর্তৃপক্ষকে আদালতের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, কর্ণফুলী দিন দিন দখল ও দূষণেরকারণে ইতিমধ্যেই ৬৩ প্রকার নদীর মাছ ও প্রাকৃতিক জীব বৈচিত্র ধ্বংস হয়ে গেছে। সম্প্রতিইকো নামের একটি সংগঠনের গবেষণায় দেখা গেছে বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে কাপ্তাই পর্যন্ত কর্ণফুলীর দুই তীরে ৫২৮ প্রজাতির উদ্ভিদশনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৮১ প্রজাতির উদ্ভিদ বিলুপ্তির পথে আছে। দূষণ ঠেকাতে উদ্যোগনা নিলে আরও ৬১ প্রজাতির উদ্ভিদ বিপন্ন হয়ে যাবে। ইউনাইটেড সোস্যাল নেটওয়ার্ক'র নির্বাহীসাংবাদিক ও পরিবেশ আন্দোলন কর্মী মুজিব উল্ল্যাহ্ তুষারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্বকরেন চট্টগ্রাম পরিবেশে ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আলীউর রহমান,মানববন্ধন সমাবেশেবক্তাব্য রাখেন, সংগঠনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধাডাক্তার মাহফুজুর রহমান, সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলাচট্টগ্রাম সমন্বয়ক মনিরা পারভিন রুবা, আরকেএস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক লায়ন জাহেদুলকরিম বাপ্পি সিকদার, কৃষিবিদ কাজী গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
মানববন্ধন থেকে হুশিয়ারী করে বক্তারা বলেন, আগামীকাল৮ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার থেকে চট্টগ্রাম বন্দর ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক তৈরিকৃতস্ট্রাটেজিক মাস্টার প্ল্যান ২০১৪ অনুযায়ী বন্দর মোহনা থেকে হালদা মোহনা পর্যন্ত সকলঅবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে কর্ণফুলীর নাব্যতা সংরক্ষণ করা না হয় আগামী শুক্রবার ৯ ফেব্রুয়ারীথেকে চাক্তাই খালের মোহনায় লাগাতার ভাবে অবস্থান কর্মসূচী পালনের ঘোষণা করা হয়।