১৬৬ রানের লক্ষ্যেখেলতে নেমে জিম্বাবুয়ে প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ১৬ রানে। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলেমাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দেন জয়লর্ড গাম্বি (৯)। তিনে নামা ব্রায়ান বেনেটও টিকতেপারেননি বেশিক্ষণ। ম্যাচে সুযোগ পেয়েই বেনেটকে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব। ৩৩ রানেরমাথায় আবারও সাইফউদ্দিনের আঘাত। ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে যেন বেরই হতে পারছেন না ক্রেইগআরভিন। দলের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ফেরেন তিনি। ব্যাটিংয়ে এই সিরিজে জুত করতে পারছেননা জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজাও। এই ম্যাচেও মাত্র ১ রান করে বিদায় নিলেনতিনি। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে উইকেটের পেছনে জাকের আলীকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেনতিনি।
জিম্বাবুয়েএরপর ধারাবাহিকভাবেই উইকেট হারাতে থাকে। একপাশ আগলে রাখা তাদিওয়ানাশে মারুমানির প্রতিরোধভাঙে ১১তম ওভারে। অনেকদিন পর বোলিংয়ে এসেই বাজিমাত করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তারবলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়েন মারুমানি। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে ক্লাইভমাদান্দেকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। সাতে ব্যাটিংয়ে নামা জোনাথন ক্যাম্পবেল দারুণ কিছুরইইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তবে ৯১ রানের মাথায় তানভির ইসলামের স্পিনে হার মানেন জিম্বাবুয়েরসাবেক তারকা ব্যাটার অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে। ১০ বলে সমান ২টি করে চার ও ছক্কায়২১ রান করেন তিনি। পরের ওভারের প্রথম বলে লুক জংওয়েকে ফেরান রিশাদ হোসেন।
৯১ রানে ৮ উইকেটহারানো দলের হাল ধরেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ফারাজ আকরাম। এই দুজন দলকে নিয়ে যান ১৪৫রান পর্যন্ত। শেষ ২ ওভারে জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল ২৭ রান। এই দুজন যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন,তাতে সেই লক্ষ্য অসম্ভব মনে হচ্ছিল না। তবে ১৯তম ওভারে মাত্র ৬ রান দেন তাসকিন। সাইফউদ্দিনেরকরা শেষ ওভারের প্রথম বলে ওয়েলিংটন ফিরলে ভাঙে এই জুটি। শেষ পর্যন্ত ১৯ বলে ৩৪ রানেআকরাম অপরাজিত থাকেন। তবে দলকে জেতাতে পারেননি।
৩ উইকেট নিলেও৪ ওভারে ৪২ রান দেন সাইফউদ্দিন। ৪ ওভারে সমান ২৬ রান দেওয়া তানভির ও তানজিম সাকিবনেন ১টি করে উইকেট। ১ উইকেট নেওয়া মাহমুদউল্লাহ ১ ওভারে ১ রান দিয়েছেন। রিশাদ ৩ ওভারে২ উইকেট নিলেও রান দিয়েছেন ৩৮। এর আগে, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেবাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় শুরু হয় ম্যাচ। শুরুটা ভালোই করেছিলেন তানজিদ হাসান তামিমও লিটন দাস। তবে বাজে ফর্মের ধারা অব্যাহত রেখে দলীয় ২২ রানের মাথায়ই বিদায় নেনলিটন (১৫ বলে ১২)। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে সরাসরি বোল্ড হন এই ওপেনার। বাজে ফর্ম অব্যাহতরইল অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তরও। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক রাজার বলে মাত্র ৪ রান করেইসরাসরি বোল্ড হন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
এরপর তাওহীদহৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে তানজিদ দলকে এগিয়ে নিতে থাকলেও শেষরক্ষা করতে পারেননি। তার ধীরগতিরইনিংস থামে দলীয় ৬০ রানে। ফারাজ আকরামের বলে ক্লাইভ মাদান্দের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেনতিনি। এরপর জাকেরকে নিয়ে দুর্দান্ত জুটি গড়েন হৃদয়। মাত্র ৫৭ বলে যোগ করেন ৮৭ রান।ব্লেসিং মুজারাবানির করা ১৯তম ওভারে ১৪৭ রানের মাথায় হৃদয় ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ৩৮বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫৭ রান করেন হৃদয়। এর আগে, টি-টোয়েন্টিতে তারব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ছিল ৪৭। প্রথম মাত্র ৬৩ রান করা বাংলাদেশ শেষ ১০ ওভারে যোগকরে ১০২ রান।
একই ওভারে ফেরেনজাকেরও। ৩৪ বলে ২টি চার ও ২ ছক্কায় তিনি করেন ৪৪ রান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানে থামে বাংলাদেশ। উইকেটে ৯ রানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ৬ রানেরিশাদ হোসেন অপরাজিত ছিলেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেটতুলে নিয়ে সবচেয়ে সফল বোলার মুজারাবানি।