চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোডে গত ৯/০৫/২০২৪তারিখে ছুরি মেরে মেহেদী নামের এক যুবককে হত্যা করে কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসীরা, মেহেদীহত্যা মামলার এজাহার নামীয় দুই জন কে আটক করতে সক্ষম হয়েছে ইপিজেড থানা পুলিশ। সিএমপিরপ্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ৯/০৫/২০২৪.টার সময় সিইপিজেডস্থ কন্ডা আর্টস মেটেরিয়ালসফ্যাক্টরিতে কর্মরত সাদিকুর রহমান এবং রমজান আলির মধ্যে পাওনা টাকার বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটিসহ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ফ্যাক্টরি ছুটি হওয়ার পর তাদের উভয়ের পরিচিতজনরা উক্তফ্যাক্টরির সামনে উপস্থিত হলে পরিচিতজনদের সামনেই একই তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ৭.৪০মিনিটের সময় তাদের উভয়ের মধ্যে হাতাহাতিসহ হুমকি-ধামকির ঘটনা ঘটে। এর কিছুক্ষণ পর অর্থাৎএকই তারিখ রাত আনুমানিক ৮.৩০ মিনিটের সময় ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী রোড চৌরাস্তাসংলগ্নচেয়ারম্যান বাড়ির সামনে রাস্তার উপর বিবাদী সাদিকুর রহমান ও রমজান আলীসহ তাদের সহযোগীএবং কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে পুনরায় মারামারিসহ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এ সময়ে ঘটনাস্থলউক্ত রাস্তা দিয়ে বাদী রেহানা বেগম (৪৮)-এর ছেলে মেহেদি হাসান (১৯) ও তার নাতি মো.নাহিম (১৮) সহ অন্য পথচারীরা আতঙ্কিত হয়ে দিগ্বিদিক ছুটাছুটিকালীন বাদীর ছেলে মেহেদিহাসান (১৯)-কে আসামিরা এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করলে বাদীর ছেলে মেহেদি হাসান (১৯)-এর বুকেরডান পাশে, ডান হাতের কব্জির উপরে এবং ডান পায়ের হাঁটুর পিছনে রগ কেটে গুরুতর রক্তাক্তকাটা জখম হয়। উক্ত মারামারির ঘটনায় মেহেদি হাসান রিফাত (২২) ও শহিদুল ইসলাম (২৩) ওছুরিকাঘাতে জখমপ্রাপ্ত হয়। বাদীর ছেলে মেহেদিহাসান (১৯)-এর শোর-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতেবাদীর নাতি মো. নাহিমসহ উপস্থিত লোকজন তার ছেলে মেহেদি হাসানকে উদ্ধার করে চিকিৎসারজন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেহেদিহাসান গত বৃহস্পতিবার রাত ১০. টার সময় মারা যায়।
এ বিষয়ে সিএমপি ইপিজেড থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়। মামলার প্রেক্ষিতে ইপিজেড থানার অফিসার ও ফোর্সসহঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় নগরীর ইপিজেড থানাধীন আকমল আলী এলাকায়অভিযান পরিচালনা করে এজাহার নামীয় আসামি রহমান (২৬) এবং মামলার ঘটনার সহিত জড়িত সন্দেহেতদন্ত প্রাপ্ত আসামি মো. হাফিজুল ইসলাম (২৬)-কে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামিদেরজিজ্ঞাসাবাদে মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটনসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।