শনিবার , ০৫ অক্টোবর ২০২৪

প্রসংশনীয় হয়ে উঠছে বিআরটিসি

দেশকাল অনলাইন   বৃহস্পতিবার , ৩০ মে ২০২৪

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) গত তিন বছরে লোকসানী প্রতিষ্ঠানের বদনাম থেকে বের হয়ে এখন লাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। এর প্রাতিষ্ঠানিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিকসহ সব প্যারমিটারে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এর হেড অফিস থেকে শুরু করে ডিপো কার্যালয় গুলো সজ্জিত করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ভাবে। এ সব কিছুর পরিবর্তন হয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি যোগদানের পর। তিনি প্রতিষ্ঠানটি সাজিয়েছেন একটি সর্বাধুনিক মানের কর্পোরেট অফিসের আদলে।এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম বলেন, “একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করতে প্রয়োজন দক্ষ একজন সংগঠকের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী টিমওয়ার্ক, উদ্যোগ ও লক্ষ নির্ধারন। টীমওয়ার্ক, উদ্যোগ ও লক্ষ্য নির্ধারণ যতটা স্বচ্ছ ও প্রচ্ছন্ন হবে সে প্রতিষ্ঠানটি তত দ্রুত কাংখিত লক্ষ্যে পৌছতে স্বক্ষমতা অর্জন করে। সরকারী প্রত্যেকটা দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের রয়েছে ডায়নামিক কতিপয় Kay performance indicator (KPI) এই কচও হলো উন্নয়নের মূল স্মারক। KPI অনুসরণে নিয়মতান্ত্রিক কার্যাবলী দক্ষতার সাথে সম্পাদিত হলে সে প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম, দূর্নীতি, অব্যবস্হাপনা, লোকসান থাকতে পারে না। একজন দক্ষ, অভিজ্ঞ, যোগ্য সংগঠক যখন দেশাত্ববোধের জায়গা থেকে তার দৈনন্দিন কার্যাবলী সম্পাদন করতে থাকেন তখন সে প্রতিষ্ঠানটি উন্নতির চূড়ায় পৌঁছে খুব স্বল্পতম সময়ে। আমি সে কাজটি করার চেষ্টা করেছি। এতে শতভাগ সফলতাও পেয়েছি”।বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) তাজুল ইসলাম প্রাতিষ্ঠানিক কচও অনুযায়ী নিরলসভাবে টীমওয়ার্ক করে মাত্র তিন বছরে বিআরটিসির মতো একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানকে সফলতার প্রান্তে পৌছিয়ে একটি আইকনিক দৃষ্টান্ত স্হাপন করেছেন। বিআরটিসি যে শুধু রেভিনিউ আয় করে লাভের জায়গায় এসেছে এমনই নয়। এ তিন বছরে প্রতিষ্ঠানটি প্রশাসনিক, প্রাতিষ্ঠানিক, অর্থনৈতিক সবগুলো প্যারমিটারে উচ্চতায় পৌছাতে স্বক্ষম হয়েছেন অবিশ্বাস্যভাবে। চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী টীমওয়ার্কে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন বাংলাদেশ সেনা বাহিনী ও প্রশাসন থেকে প্রেষণে আসা কয়েকজন কর্মকর্তা।এ বিষয়ে বিআরটিসি চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, “বিআরটিসিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং প্রশাসন থেকে প্রেষণে আসা কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন যারা সবাই অত্যন্ত সৎ ও কর্মদক্ষ। এ সকল কর্মকর্তা যখন যে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে তারা নিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়ীত্ব পালন করছেন। এছাড়া বিআরটিসির বিদ্যমান কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ঐকান্তিক সহযোগীতায় মাত্র তিন বছরে বিআরটিসি কর্পোরেট কালচারে লাভ জনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘুড়ে দাঁড়াতে স্বক্ষম হয়েছে । আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও টীমওয়ার্কে সরকারেরও ভাবমূর্তি উজ্জল হয়েছে বহু গুন”।মাত্র তিন বছরে কয়েক যুগের জঞ্জাল দূর করে একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানকে লাভ জনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা খুব সহজ কাজ ছিলো না। দীর্ঘদিনের সুবিধাভোগী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের রোসানল, ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম এর নেতৃত্বে বিআরটিসির বর্তমান প্রশাসনকে তাদের লক্ষ্য অনুযায়ী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হয়েছে। লক্ষ্যে পৌঁছতে হয়েছে।এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জানান, “বিআরটিসির উন্নয়নে ও প্রতিবন্ধকতা সমূহ দূরীকরণে ফলপ্রসু দিক নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি মহোদয় ও সার্বিক তত্ত্বাবধান করেছেন সচিব এ বি এম আমিনুল্লাহ নূরী মহোদয় ”। এ ছাড়া বিআরটিসির পরিচালনা পর্ষদে রয়েছে একঝাক সফল পেশাজিবী ব্যক্তিত্ব। বিআরটিসির আজকের এ অগ্রযাত্রায় তাদের অবদানও অনস্বীকার্য। তাদের সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা ও পরামর্শে বিআরটিসি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের দক্ষতা পূর্ণ নেতৃত্বে আজকের এই অবস্হানে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে স্বক্ষম হয়েছে। বিআরটিসি লোকসানী তকমা থেকে বের হতে পেরেছে। আগামীর একটি সোনালী পথে হাটছে বিআরটিসি।বিআরটিসির অগ্রযাত্রার রোডম্যাপঃ বিআরটিসির বর্তমান চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব, মোঃ তাজুল ইসলাম ১১ তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সরকারি চাকুরীতে যোগদান করেন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্পোরেশন এর চেয়ারম্যান হিসেবে ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে যোগদান করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন মাঠ প্রশাসন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো এবং কৃষি মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।কর্ম জীবনের সর্বস্তরে মেধাদীপ্ত সাফল্যের স্বাক্ষর রাখেন। তার সর্বশেষ কর্মস্থল বিআরটিসি। বিআরটিসিতে যোগদানের পর তিনি প্রথমেই ফাইন্ডআউট করেন বিআরটিসি কেন একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠান, ভিতরে-বাহিরে এর সমস্যাগুলো কী কী। সমস্যা চিহ্নিত করে এগুলো কাটিয়ে উঠার উপায় সমূহ, পদক্ষেপগুলো কি কি হতে পারে তা নির্ধারণ করেন এবং বিআরটিসির পুন্জিভূত দায় বা লোন সমূহ বিআরটিসিকে কীভাবে পশ্চাদে রেখেছে ও এটিও নির্ধারণ করেন। প্রণয়ন করেন কি কি পরিকল্পনা গ্রহণ করলে প্রতিষ্ঠানটি অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাবে এবং সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জল হবে।এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমস্যাবলী চিহ্নিত করে তা দ্রুত সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এ বিষয়টি দ্রুত সমাধান করতে পারায় বিআরটিসির রেভিনিউর পরিমাণ অকল্পনীয়ভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে।এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের মিশন, ভিশন, রূপকল্প, অভিলক্ষ্য, KPI ইত্যাদি সামনে রেখে মিঃ তাজুল ইসলাম একটি যুগান্তকারী রোডম্যাপ তৈরীর সাথে একটি শক্তিশালী টীম তৈরী করে পথের সম্মুখে অগ্রসর হতে থাকেন। এই টীমওয়ার্কও তাকে সফলতার দ্বারপ্রন্তে পৌছতে সাহায্য করে।এ বিষয়ে মিস্টার তাজুল ইসলাম জানান, “আমি চাকুরী জীবনে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকুরী করেছি। সর্ব জায়গায়ই আল্লাহর মেহেরবানীতে সফলতার স্বাক্ষর রাখতে স্বক্ষম হয়েছি। শেষ জীবনে একটি লোকসানী প্রতিষ্ঠানের তকমা নিয়ে যাওয়াটা সারা জীবনের সব অর্জন বিসর্জনের নামান্তর। এ দৃষ্টি কোন থেকে আমার জীবনের সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করেছি বিআরটিসিকে ভালো কিছু উপহার দেয়ার জন্য। আর যা করেছি নিঃস্বার্থভাবে দেশাত্ববোধের জায়গা থেকে”।সফলতার মহাসড়কে বিআরটিসিঃবাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সেবামূলক পরিবহন সংস্থা।অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম বিআরটিসির চেয়ারম্যান হিসেব যোগদানের সময় বিআরটিসি'র বহরে সচল বাসের সংখ্যা ছিল মাত্র ৯০০টি এবং ট্রাক ছিলো প্রায় ৫০০টি। যোগদানের পর তিনি বিআরটিসির পড়ে থাকা অচল ৩১০টি গাড়ি মেরামত করে চলাচল উপযোগী করে তোলেন। এতে বহরে বাসের সংখ্যা দাড়ায় ১২১০-এ। ১২০১টি গাড়িতেই ঠঞঝ সংযুক্ত করেন। ৫০ টি গাড়িতে পরীক্ষন মূলক ভিডিও ক্যামেরা সংযোজন করেন। যাত্রী ও পণ্য পরিবহন সেবার পাশাপাশি নগর পরিবহন, পর্যটক বাস সার্ভিস, মহিলা বাস সার্ভিস, স্কুল বাস সার্ভিস, বাণিজ্য মেলা, মেট্রোরেল শাটল বাস সার্ভিস, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শাটল বাস সার্ভিস ইত্যাদি নানামুখী সেবা প্রদানের মাধ্যমে বিআরটিসি প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে বিআরটিসি ২০৮টি স্থানীয় রুটে এবং ৫টি আর্ন্তজাতিক রুটে বাস সার্ভিস পরিচালিত হচ্ছে। যেকোনো সময়ের তুলনায় গত তিন বছরে বিআরটিসি'র কারিগরি সক্ষমতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারনে মাত্র দুই (০২) দিনের মধ্যে ছাদখোলা বাস তৈরি করে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধণা দেওয়া সম্ভব হয়েছে, এতে বিআরটিসির স্বক্ষমতার স্বাক্ষর রেখেছে এবং সর্বমহলে বিআরটিসি প্রশংসিত হয়েছে। সারাদেশে বিআরটিসির ২২টি বাস ডিপো, ২টি ট্রাক ডিপো, ২টি যানবাহন মেরামত কারখানা, ৪টি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ও ২০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে আসছে। গত তিন বছরে প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪০টি ক্যাটাগরিতে ৯০৬ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। বিভিন্ন পদে ৬২৯জনকে পদোন্নতি এবং ১০১৭ জনকে চাকুরী স্থায়ীকরণ করা হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কল্যাণ তহবিল থেকে নিয়মিত অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তিও প্রদান করা হচ্ছে।বিআরটিসি'র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বকেয়া, সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি, ছুটি নগদায়নের দায়-দেনার পরিমাণ ২০২১ সালের পূর্বে ছিলো ১০১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। ২০২১ সালের পর নিজস্ব আয় হতে প্রায় ৬৬ কোটি টাকা দায়-দেনা পরিশোধ করা হয়েছে। বর্তমানে বিআরটিসির সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা কর্পোরেশনের নিজস্ব আয় হতে প্রতি মাসের এক (০১) তারিখে এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি তিন (০৩) মাস অন্তর অন্তর গ্র্যাচুইটি, সিপিএফ ও ছুটি নগদায়নের টাকা পরিশোধ করা হচ্ছে। বিআরটিসি'তে প্রথমবারের মত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ২৬৮৭ জনকে ৪.১৪ কোটি টাকা শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রদান করা হয়েছে। বিআরটিসির মদনপুর, নরসিংদীী, মুক্তারপুর, মিরপুর, বরিশাল সহ কয়েকটি রুটের ড্রাইভার সহ কর্মচারীদের কাছে এ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্নভাবে জানতে চাইলে অভিন্নভাবে তারা জানায় - বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম যোগদানের পর তারা চাকুরী স্বাচ্ছন্ধের সাথেই করছেন, গত তিন বছর মাসের ১ তারিখেই বেতন পান। আগে যেমন কবে বেতন পাওয়া যাবে সে চিন্তা থাকতো এখন আর তা ভাবতে হয় না। এ ছাড়া চাকুরী শেষে চাকুরী সুবিধা পেতে বছরের পর বছর ঘুড়তে হবে আপাতত এ চিন্তা মুক্ত রয়েছেন।বিআরটিসির সক্ষমতা বৃদ্ধির একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ইনহাউজ প্রশিক্ষণ, দক্ষ চালক ও কারিগর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিআরটিসি অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্প এর মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ২০২২-২৩ সময়কালে ২৬,০৪৭ জনকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিসির মুখপাত্র কর্নেল মোঃ মোবারক হোসেন মজুমদার বলেন, “প্রশিক্ষণ একটি প্রতিষ্ঠানের উন্নতির প্রান, চেয়ারম্যান স্যার তার চাকুরী জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে এ বিষয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করে বিআরটিসির প্রতিটি স্তরে প্রশিক্ষণ চালু করেন। বর্তমানে বিআরটিসি এর সফলতাও ভোগ করছে’ । প্রত্যেক ডিপো/ইউনিটে অনলাইন সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে সকল কার্যক্রম মনিটরিং এর আওতায় আনা হয়েছে। আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি, ওয়াই-ফাই সুবিধা, ই-টিকেটিং, ফ্লিট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারে ব্যবহারের মধ্য দিয়ে উন্নত পরিবহন সেবা দেয়া হচ্ছে। বর্তমান চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মাদ তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হতে যাচ্ছে বিআরটিসি। উন্নয়ন ও অগ্রগতির এ ধারা অভ্যহত থাকলে বিআরটিসিকে পিছন ফিরে তাকাতে হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকে।চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধানঃগত ডিসেম্বর ২০২৩ এর মাঝামাঝি সময়ে এই প্রতিবেদকের কাছে দুটি অভিযোগ পত্র সহ কিছু কাগজপত্র আসে। একটি বিআরটিসি চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে দূদকে দায়ের করা আবেদন অপরটি একজন ডিপো ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পত্র ও সহযোগী কাগজ পত্রগুলো খুব ভালো করে যাচাই বাছাই করে দেখা যায় অভিযোগগুলো যথেষ্ট দুর্বল, এতে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তা বেশ আপত্তিকর এবং দীর্ঘদিনের সুধিধা ভোগকারী কারো স্বার্থে আঘাত হেতু এ অভিযোগ পত্র দায়ের করা হয়েছে। এ সুত্র ধরে প্রতিবেদক নিজে বিআরটিসির কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন স্তরের কর্মচারী, ড্রাইভারদের সাথে কথা বলেন।এ ছাড়া চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ তাজুল ইসলামের সাবেক কর্মস্হল সমূহে এবং তার সাবেক কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে তার সম্পর্কে খোজ খবর নেন। চাকুরী জীবনে মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম দুর্নীতির সাথে জড়িত এমন স্বীকরোক্তি কেউ দেন নি বরং সকলেই এ কথা স্বীকার করেছেন যে, তিনি একজন কাজ পাগল মানুষ। যখন যে কাজ করেছেন অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে করেছেন। এ ছাড়া বিআরটিসিতে তার যোগদানের পর বিশাল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এ নিয়োগ কার্যটি স্বচ্ছতার হয়েছে বলেও সকলে স্বীকার করেছেন। এদিকে অপর ডিপো ম্যনেজারের বিরুদ্ধে আনা সবগুলো অভিযোগের বিষয়েও খোজ খবর নিয়ে জানা যায় তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই। অভিযোগগুলো মূলতঃ উত্থাপন করা হয়েছে দরখাস্তকারীদের চাহিত সুযোগ না দেয়ার কারণে। এ ছাড়া গ্রুপটির বিশেষ একটি বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা গেছে, কোন কর্মকর্তার সাথে বেমিল দেখা দিলে, তাকে দিয়ে স্বার্থ আদায়ে ব্যর্থ হলে তাকে জামাআত, বিএনপির লোক হিসেবে প্রমাণ করার জন্যে নানামূখী প্রপাগান্ডা চালাতে থাকে।মূলতঃ অনুসন্ধানে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়, মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের পর দীর্ঘ দিন বিআরটিসির সাথে ঠিকাদারী ব্যবসার সাথে জড়িত, বিভিন্নভাবে সুযোগ সুবিধা গ্রহনকারী কতিপয় ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের এবং কয়েকজন দুর্নীতি পরায়ন ডিপো ম্যনেজারের স্বার্থ নষ্ট হয়। এতে তারা কৌশলীভাবে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে নামে বেনামে প্রোপাগান্ডা চালাতে থাকে। যাতে করে চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম বিআরটিসি থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়। তিনি চলে গেলে তাদের কর্মকান্ড পূর্বের ন্যায় চালাতে কোন বাধা থাকবে না।মূলতঃ বিআরটিসি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের দোষ হলো তিনি গত তিন বছর মুষ্ঠিমেয় কয়জন ঠিকাদারের হাতে বিআরটিসিকে জিম্মি হতে দেন নি। এছাড়া ডিপোগুলোতে বছরের পর বছর চলতে থাকা অনিয়মগুলো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রন করন। বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ তাজুল ইসলাম বিআরটিসিতে যে ধারা সৃষ্টি করেছেন এভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরে বিআরটিসি হবে একটি মজবুত অর্থনৈতিক ভীতের শক্তিশালী সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান।

 অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরোও সংবাদ

ই-দেশকাল

আর্কাইভ