শনিবার , ০৫ অক্টোবর ২০২৪

বিজেআরআই তোষা পাট-৯ এর ফলে বাংলাদেশে ভারতীয় পাট বীজের চাহিদা কমবে

দেশকাল প্রতিবেদক, ঢাকা   সোমবার , ১০ জুন e ২০২৪


বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) এর মানিক মিয়া এভিনিউস্থ প্রধান কার্যালয়ে ‍আজ (সোমবার) বিজেআরআই এর কৃষি গবেষণা উইং কর্তৃক ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ১টি জাত ‘বিজেআরআই তোষা পাট ৯ (সবুজ সোনা)’ এবং ০৩ টি প্রযুক্তি ‘রসুনের নির্যাস দিয়ে পাটের হলুদ মাকড় দমন; প্রচলিত পাট পচন পদ্ধতির উন্নয়ন ও দেশী পাটের (Corchorus capsularis L.) ইন ভিট্রো প্লান্ট রিজেনারেশন প্রটোকল’ হস্তান্তর বিষয়ক একটি কর্মশালা আয়োজন করা হয়। 

কর্মশালায়ে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান এবং সভাপতিত্ব করেন বিজেআরআই এর মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল আউয়াল।

প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান বলেন, বিজেআরআই তোষা পাট-৯ উদ্ভাবনের ফলে বাংলাদেশে ভারতীয় পাটের জাত জেআরও-৫২৪ এর উৎপাদন এবং পাট বীজের চাহিদা কমে আসবে। ফলে ভারতীয় বীজ আমদানিতে বাংলাদেশের যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয় তা অনেকাংশে কমে আসবে।
বিজেআরআই এর উদ্ভাবিত এই নতুন জাত (বি্জেআরআই তোষা পাট-৯/সবুজ সোনা) কে মাঠে পরিচিতি বাড়ানোর জন্য বিএডিসি এবং ডিএই-কে এতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, “উৎপাদনকে ঠিক রেখে স্বল্প সময়ের নতুন জাত উদ্ভাবনের ব্যাপারে বিজেআরআই এর বিজ্ঞানীদের কাজ করতে হবে। জমির স্বল্পতাকে মাথায় রেখে কিভাবে পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় সে লক্ষ্যেও কাজ করতে হবে।” “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন পাটের চাহিদা কোনদিন শেষ হবেনা, এজন্য বিজেআরআই-কে মুখ্য ভূমিকা পালন করে পাটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে,” বলেন তিনি।

বিজেআরআই এর মহাপরিচালক আউয়াল বলেন, “বিজেআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত নতুন এ জাতটি অন্য জাতগুলোর চেয়ে স্বল্প সময়ে ভালো ফলন দেয়। এই জাতের মাধ্যমে আমরা পাট বীজের আমদানিনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারব বলে আশা করছি। পরীক্ষামূলকভাবে ভালো ফলন দেওয়ায় এরই মধ্যে এর চাহিদা কৃষকদের মাঝে বেড়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে বোরো ধান কাটার পর এই জাতটি বপন করলে একই জমিতে ৩-৪ ফসলের শস্যবিন্যাস আনা সম্ভব।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) এর সম্মানিত নির্বাহী পরিচালক ড. নাথু রাম সরকার, কেজিএফ এর সম্মানিত জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ ড. মনোয়ার করিম খান, কেজিএফ এর পরিচালক (শস্য এবং প্রাকৃতিক সম্পদ) ড. মো: আক্কাস আলী এবং বিএআরসি এর সদস্য পরিচালক (শস্য বিভাগ) ড. মোঃ আবদুছ ছালাম।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বিজেআরআই এর পরিচালক (কারিগরি) মোঃ মোসলেম উদ্দিন, পরিচালক (জুট-টেক্সটাইল) ড. ফেরদৌস আরা দিলরুবা, পরিচালক (কৃষি) ড. নার্গীস আক্তার, পরিচালক (পিটিসি) ড. মাহমুদ আল হোসেন, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ড. এস. এম. মাহবুব আলী সহ বিজেআরআই এর সকল স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, কৃষি মন্ত্রণালয় এর অধীনস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ মাঠ পর্যায়ে হস্তান্তরের লক্ষ্যে বিজেআরআই এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নার্সভুক্ত প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও কৃষক প্রতিনিধিসহ সর্বমোট ১২০ (একশত বিশ) জন অংশগ্রহণকারীর সমম্বয়ে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।

 পাঁচমিশালী থেকে আরোও সংবাদ

ই-দেশকাল

আর্কাইভ