শনিবার , ০৫ অক্টোবর ২০২৪

ঢাকা:  আইএসপি, এবি এবং বিটিআরসি ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী(জুনাইদ আহমেদ পলক) বারবার ইন্টারনেট বন্ধের দায় চাপিয়েছেন মহাখালীর খাজা টাওয়ারেরডাটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।তারা জানান, আজ আমরা ভবন পরিদর্শন করে এবং ভবনের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি এখানেকোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। একটি বিষয় পরিষ্কার করে বলা দরকার, ডাটা সেন্টার হল কেবল সার্ভারসংরক্ষণাগার অর্থাৎ এক প্রকার লকার।

 

শনিবার (২৭ জুলাই)দুপুরে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানোহয়। সংগঠনটি ইন্টারনেট সেবা খাতে ক্ষয়ক্ষতি ও নাশকতা তদন্তে তদন্ত কমিশন গঠনের দাবিজানিয়েছে। এর আগে মহাখালীর খাজা টাওয়ারে অবস্থিত ডাটা সেন্টার পরিদর্শন করেন তিনি। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীজুনাইদ আহমেদ পলক।ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেবলা হয়, গত ১৬-১৭ তারিখে সীমিত পরিসরে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও ১৮ তারিখ সন্ধ্যাথেকে সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাসহ মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। তাৎক্ষণিকআমরা ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের সভাপতির উদ্ধৃতি দিয়েজানতে পারি, মহাখালীর খাজা টাওয়ারের ডাটা সেন্টারে সন্ত্রাসী হামলার কারণে ইন্টারনেটসেবা বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রেখে ন্যারো ব্র্যান্ডের ইন্টারনেটসেবা সরবরাহ করা হচ্ছে। অন্যদিকে টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, গুজবপ্রতিরোধে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রতিমন্ত্রীও বলেছেন বিভিন্নস্থানে ফাইবার কাটা এবং ডাটা সেন্টারে সন্ত্রাসী হামলার কারণে ইন্টারনেট সেবা বন্ধরয়েছে। আমাদের জানামতে বিশ্বে একটানা সাত দিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকা নজিরবিহীন। এমনকিযুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা ও ইউক্রেনে ইন্টারনেট সেবা এত দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকেনি।

 

ইন্টারনেট বন্ধেরফলে গ্রাহকের ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা, বিমানে টিকেটসংগ্রহ, এমনকি গ্যাস বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় গ্রাহকদের থাকতে হয়েছে। ব্যাংকে টাকা থাকাসত্ত্বেও টাকা উত্তোলন করতে না পেরে অনেকে অভুক্ত ছিলেন। ইন্টারনেট সেবা বন্ধের ফলেমূল ধারার গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত না হওয়ায় গুজব ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে প্রাণহানিও ভয়াবহ সহিংসতা এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস এবং লুণ্ঠন করা হয়। গুজব এবং উসকানিমূলকপোস্ট নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মেটা, ইউটিউব, টিকটক, এমনকিবিটিআরসি এবং আইসিটি ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে।

 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোকে জরিমানার পাশাপাশি আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্তব্যক্তিদেরও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। ইন্টারনেট খুলে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব,আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট, এবং দেশের১৮ কোটি মানুষের জোরালো দাবি রয়েছে। তাই আমরা মনে করি, ইন্টারনেট বন্ধ করার যৌক্তিকতাএবং কারণ উদঘাটনে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের সহায়তায় দেশের প্রযুক্তিও টেলিযোগ খাতের বিশেষজ্ঞ, স্টেক হোল্ডার, গণমাধ্যম এবং গ্রাহকদের প্রতিনিধি সমন্বয়েএকটি তদন্ত কমিশন গঠন করা জরুরি।

 তথ্যপ্রযুক্তি থেকে আরোও সংবাদ

ই-দেশকাল

আর্কাইভ