এর আগে তিনি দেশেরমোবাইল অপারেটর কোম্পানি, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস), অ্যাসোয়িশেন অব মোবাইলটেলিফোন অপারেটর বাংলাদেশের (অ্যামটব) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে উপস্থিতছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কর্মকর্তারাও।এ বৈঠকে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত হয়। ব্রিফিংয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আজকেরবৈঠকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আজ বিকেল ৩টার পর থেকে মোবাইল ইন্টারনেট কানেকটিভিটিপুনঃস্থাপন করতে পারবো। বিকেল ৩টার পর থেকে সারাদেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হবে।তার জন্য প্রযুক্তিগত যত সহায়তা দরকার, আমরা তা সবসময় দেবো। মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোওযত দ্রুত সম্ভব প্রস্তুতি নেবে।
কোটা সংস্কারআন্দোলন ঘিরে গত ১৮ জুলাই সারাদেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ওইদিন রাত আনুমানিক ৯টার দিকেসারাদেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এর পাঁচদিন পর ২৩ জুলাই রাত থেকে পরীক্ষামূলকভাবেসীমিত পরিসরে চালু করা হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা।প্রাথমিকভাবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতেইন্টারনেট সেবা দেওয়া হয় ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালতে। পরে বৃহস্পতিবাররাত থেকে বাসা-বাড়িতেও ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা হয়। পাশাপাশি গুগল ক্যাশ সার্ভারক্লিয়ার করায় ধীরে ধীরে ইন্টারনেটে স্বাভাবিক গতি ফিরছে।
অন্যদিকে, দেশের১৩ কোটির বেশি মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকরা এখনো সেবাবঞ্চিত। তাদের অসুবিধার কথা বিবেচনায়রোববার বিকেল থেকে অবশেষে মোবাইল ইন্টারনেট চালুরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে মেটারতিনটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং টিকটক বাংলাদেশেএখনো বন্ধ। কবে নাগাদ এসব প্ল্যাটফর্ম খুলে দেওয়া হবে, তা এখনো জানায়নি বিটিআরসি। অনেকব্যবহারকারী ভিপিএনের মাধ্যমে এসব প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় হয়েছেন।