সোমবার , ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

কোটা আন্দোলনে সৃষ্ট সহিংসতায় নিহত ৪ সাংবাদিক, জখম দুই শতাধিক

দেশকাল প্রতিবেদক, ঢাকা   সোমবার , ২৯ July ২০২৪

ঢাকা:  কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারা দেশেছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। এসব ঘটনার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত চার সাংবাদিক প্রাণহারিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জনের মতো। গুলিবা হামলা শিকার হয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ২২৪ জন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী। এর মধ্যে গুরুতরঅবস্থা অন্তত ৬৭ জনের। আহত সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমগুলোর সঙ্গে কথা বলে এই তথ্যপাওয়া গেছে।

নিহত যারা

কোটা আন্দোলনেরসংবাদ সংগ্রহের সময় ঢাকায় নিহত হন সাংবাদিক মেহেদী হাসান ও তৌহিদ জামান প্রিয়, সিলেটেএটিএম তুরাব ও গাজীপুরে মো. শাকিল হোসেন। হাসান মেহেদী ঢাকা টাইমস পত্রিকার সিনিয়ররিপোর্টার ছিলেন। ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী এলাকায় সহিংসতার সময় হাসান মেহেদী গুলিবিদ্ধহন। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকপরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। ১৯ জুলাই দুপুরে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে আন্দোলনেরছবি তোলার সময় ফ্রিল্যান্স ফটোসাংবাদিক তৌহিদ জামান প্রিয় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। এতেঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। একই দিনে সিলেটে দায়িত্ব পালনের সময় নয়া দিগন্ত পত্রিকারসাংবাদিক এটিএম তুরাব গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যুহয়।

 

এছাড়া ১৮ জুলাইদৈনিক ভোরের আওয়াজ পত্রিকার গাজীপুরের গাছা থানা প্রতিনিধি মো. শাকিল হোসেন সংবাদ সংগ্রহকরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

 

গুলিবিদ্ধ ও আহতযারা

 

ঢাকা ও ঢাকারবাইরের অনেক প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালনের সময় গুলিবিদ্ধহয়েছেন, হামলার শিকার হয়েছেন বা সংঘাতের মাঝে পড়ে আহত হয়েছেন। 

 

আমাদের সময়

কোটা আন্দোলনেসহিংসতায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ৯ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেনবলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আহতরা হলেন চিফ রিপোর্টার শাহজাহান আকন্দ শুভ, ফটোসাংবাদিকমনজুরুল বাবু, মো. মেহরাজ ও আলামিন লিওন, স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল্লাহ কাফি ও রেজাউলরেজা এবং মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক মিরাজুল ইসলাম ও আকতারুজ্জামান। পত্রিকাটির চিফ রিপোর্টারশাহজাহান আকন্দ শুভ বলেন, আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করার সময় ১৯ জুলাই কাকরাইল ও আজিমপুরএলাকায় আমার ওপর হামলা করা হয়। আমি মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করছিলাম। এসময় আন্দোলনকারীরাআমাকে সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার ভেবে হামলা করে। হামলায় আমাদের ফটোসাংবাদিক মনজুরুলবাবুর হাত ভেঙে গেছে, মাথায় একাধিক সেলাই লেগেছে।

প্রথম আলো

 

দৈনিক প্রথম আলোপত্রিকার তিনজন ফটোসাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন সাজিদ হোসেন, দীপু মালাকার ও খালেদসরকার। তারা তিন জনই গুরুতর আঘাত পেয়েছেন।

 

কালের কণ্ঠ

 

কালের কণ্ঠ পত্রিকারসাংবাদিক ছয় জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন সিনিয়র ফটোসাংবাদিক মনজুরুল করিম, ফটোসাংবাদিকলুৎফর রহমান, শেখ হাসান ও মোহাম্মদ আসাদ। এছাড়াও পত্রিকাটির আরও দুই জন মাল্টিমিডিয়ারিপোর্টার আহত হয়েছেন। তারা হলেন আল আমিন ও মাহাদী হাসান।

 

মনজুরুল করিম২০ জুলাই (শনিবার) যাত্রবাড়ী এলাকায় দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হন। তার ক্যামেরাভেঙে ফেলা হয় এবং মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

 

প্রতিদিনের বাংলাদেশ

 

দৈনিক প্রতিদিনেরবাংলাদেশ পত্রিকার তিনজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক আলী হোসেন মিন্টু,ক্রাইম চিফ আলাউদ্দিন আরিফ ও মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আকাশ। আলাউদ্দিন আরিফ জানান, ১৯জুলাই মালিবাগ আবুল হোটেল এলাকায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। তার শরীরে ছররা গুলি লাগে।

 

ঢাকা ট্রিবিউন

 

ইংরেজি পত্রিকাঢাকা ট্রিবিউনের ফটোসাংবাদিক আহাদুল করিম খান আহত হয়েছেন।

 

সমকাল

 

সমকাল পত্রিকারদুই জন ফটো জার্নালিস্ট গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা হলেন সিনিয়র ফটো জার্নালিস্ট সাজ্জাদমাহমুদ নয়ন ও মামুনুর রশীদ।

 

ডেইলি স্টার

 

দৈনিক ইংরেজিপত্রিকা ডেইলি স্টারের তিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। সিনিয়র ফটোজার্নালিস্ট প্রবীর দাসও মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক আবির আহত হন ঢাকায়। এছাড়া ডেইল স্টারের সিলেট প্রতিনিধি দোহাচৌধুরী গুরুতর আহত হয়েছেন।

 

বাংলাদেশ প্রতিদিন

 

দৈনিক বাংলাদেশপ্রতিদিনের একজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। সিনিয়র সাংবাদিক রোহেত রাজীব ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ীএলাকায় হামলার শিকার হয়েছেন। ১৯ জুলাই রামপুরা এলাকায় মাসুদ রানা (সংবাদকর্মী) হামলারশিকার হন। তার মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও পত্রিকাটির সংবাদপত্র বহনকারী তিনটিগাড়ি রায়েরবাগ এলাকায় পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।

 

মানবজমিন

 

দৈনিক মানবজমিনপত্রিকার একজন ফটোসাংবাদিক জীবন আহমেদ ২০ জুলাই রামপুরা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়। তার শরীরেছয়টি ছররা গুলি লাগে।

 

দেশ রূপান্তর

 

দৈনিক দেশ রূপান্তরপত্রিকার চার জন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক মহুবার রহমান ও মোশারফহোসেন ভুবন, স্টাফ রিপোর্টার নাজমুল হাসান সাগর ও মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিক সুপন সিকদার।

 

ইত্তেফাক

 

দৈনিক ইত্তেফাকপত্রিকার একজন সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি হলেন সিনিয়র ফটোসাংবাদিক আব্দুল গনি।

 

সময়ের আলো

 

দৈনিক সময়ের আলোপত্রিকার ছয় জন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- ফটোসাংবাদিক আব্দুল হালিম, আবদুল্লাহআল মমীন ও শেখ ফেরদৌস, সাহিত্য সম্পাদক আলী রেজা চৌধুরী এবং অনলাইন ভার্সনের সাংবাদিকহুমায়ন ও আল ইমরান।

 

খবরের কাগজ

 

দৈনিক খবরের কাগজপত্রিকার দুই জন আহত হয়েছেন। ফটোসাংবাদিক মাসুদ মিলন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ১৯ জুলাই। এদিনদুপুরে পল্টনে তার শরীরের ছররা গুলি লাগে। এছাড়াও এই পত্রিকার রিপোর্টার মেহেদী হাসানখাজা আহত হয়েছেন বলে তার দাবি।

 

দৈনিক সংবাদ

 

দৈনিক সংবাদ পত্রিকারচার জন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। তারা বলেন- সিনিয়র রিপোর্টার মোস্তাফিজুর রহমান,প্রধান ফটোসাংবাদিক সোহরাব আলম, স্টাফ রিপোর্টার (ক্রাইম) মাসুদ রানা ও স্টাফ রিপোর্টাররেজাউল করিম। তাদের মধ্যে দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

 

যায়যায়দিন

 

দৈনিক যায়যায়দিনপত্রিকার দুইজন রিপোর্টার হামলার শিকার হয়েছেন। তারা হলেন মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আব্দুল্লাহআল মামুন ও নাহিদ হাসান। দুর্বৃত্তদের হামলার তাদের হাতে ও পায়ে রক্ত জমাট বেঁধে আছে।

 

জনকন্ঠ

 

জনকন্ঠ পত্রিকারচার জন সংবাদকর্মী আহত হয়েছে। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক সুমন্দ চক্রবর্তী ও জসিম উদ্দিন,রিপোর্টার ফজলুর রহমান ও ঢাবি প্রতিনিধি মোজাহার।

 

ভোরের কাগজ

 

ভোরের কাগজ পত্রিকারদুই জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- ফটোসাংবাদিক মামুন আবেদীন ও সংবাদকর্মী রাজিবুলমানিক।

 

আলোকিত বাংলাদেশ

 

আলোকিত বাংলাদেশপত্রিকার দুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তিনি হলেন- ফটোসাংবাদিক মো. আক্তার হোসেন ও সংবাদকর্মীআরিফ।

 

দৈনিক যুগান্তর

 

দৈনিক যুগান্তরপত্রিকার দুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মাহিদা হাসান ক্যাম্পাসেহামলার শিকার হন। অপরজন নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লাহ প্রতিনিধি আল আমিন প্রধান, তিনি ১৯ জুলাইগুরুতর আহত হয়েছেন।

 

কালবেলা

 

দৈনিক কালবেলাপত্রিকার দুই জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন স্টাফ রিপোর্টার রনি রায়হান ও লিডমোজো (মোবাইল জার্নালিজম) রিপোর্টার আকরাম হোসেন।

 

ডেইলি সান

 

ইংরেজি দৈনিকডেইলি সান পত্রিকার দুই জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক রিয়াজ আহম্মেদসুমন ও সংবাদকর্মী সায়েদ হাসান শুভ।

 

বণিক বার্তা

 

দৈনিক বণিক বার্তাপত্রিকার তিন সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক মাসফিকুর আক্তার ওকাজী সালাহউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মেহদী মামুন।

 

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

 

দৈনিক ইংরেজিদ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার চার জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা বলেন- সিনিয়রকরেসপন্ডেন্ট জসিম উদ্দিন, রিপোর্টার রোকনুজ্জামান মনি, ফটোসাংবাদিক রাজিব ধর ও মাল্টিমিডিয়াসাংবাদিক মো. কাজল সিকদার।

 

আজকের পত্রিকা

 

আজকের পত্রিকারদুই জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- ফটোসাংবাদিক ফজলে এলাহী ওমর ও অন্যজন নাম প্রকাশেঅনিচ্ছুক।

 

বাংলাবাজার

 

বাংলাবাজার পত্রিকারএকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তিনি হলেন ফটোসাংবাদিক এম খোকন সিকদার।

 

আজকের দৈনিক

 

আজকের দৈনিক পত্রিকারএকজন ফটোসাংবাদিক আহত হয়েছেন। তিনি হলেন নূর হোসেন পিপুল।

 

দি ডেইলি অবজারভার

 

দি ডেইলি অবজারভারপত্রিকার ফটোসাংবাদিক খন্দকার আজিজুর রহমান আহত হয়েছেন।

 

মানব কণ্ঠ

 

দৈনিক মানব কণ্ঠপত্রিকার একজন ফটোসাংবাদিক আহত হয়েছেন। তিনি হলেন মো. জুবায়ের আলম খাঁন।

 

দৈনিক জনতা

 

দৈনিক জনতা পত্রিকারএকজন ফটোসাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি হলেন মো. আব্দুল হালিম।

 

দৈনিক ইনকিলাব

 

দৈনিক ইনকিলাবপত্রিকার একজন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তিনি হলেন এস এ মাসুম।

 

দৈনিক নয়াদিগন্ত

 

দৈনিক নয়াদিগন্তপত্রিকার ফটোসাংবাদিক এস এম আব্দুল্লাহ পারভেজ আল বাপ্পী আহত হয়েছেন।

 

অর্থনীতি প্রতিদিন

 

অর্থনীতি প্রতিদিনপত্রিকার একজন ফটোসাংবাদিক আহত হয়েছেন। তিনি হলেন মো. মাসুদ পারভেজ মিলন।

 

রাজধানীর সায়েন্সল্যাবএলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে আহত হয়েছে বহু সাংবাদিক (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)রাজধানীরসায়েন্সল্যাব এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে আহত হয়েছে বহু সাংবাদিক (ছবি:সাজ্জাদ হোসেন)

 

অনলাইন সংবাদমাধ্যম

 

বাংলা ট্রিবিউন

 

বাংলা ট্রিবিউনপত্রিকার পাঁচ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- সিনিয়র ফটোসাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার আরমান ভূঁইয়া, আসাদ আবেদীন জয়, আতিক হাসান শুভ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়প্রতিনিধি এসএম তাওহীদ। এর মধ্যে দুই গুরুতর আহত একজন ছররা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

 

সিনিয়র ফটোসাংবাদিকসাজ্জাদ হোসেন বলেন, ১৮ জুলাই সাইন্স ল্যাব এলাকায় ছবি তোলার সময় হামলাকারীরা এলোপাতাড়িহামলা করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।

 

আরমান ভূঁইয়াকোটা আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করার সময় তেজগাঁও যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটাদিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

 

বিডিনিউজ ২৪ ডটকম

 

বিডিনিউজ২৪ ডটকম পত্রিকার দুই সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। ফটোসাংবাদিক মো. মাহমুদ জামান অভি ওজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আসিফ জামান আহত হন।

 

বাংলা নিউজ২৪ডটকম

 

বাংলানিউজ২৪ ডটকম পত্রিকার তিনজন সাংবাদিক আহত হয়েছে। তারা হলেন সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট জি এম মুজিবুররহমান, স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট শাকিল আহমেদ ও স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ইফফাত শরীফ।

 

সারাবাংলা

 

সারা বাংলা পত্রিকারদুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন ফটোসাংবাদিক হাবিবুর রহমান হাবিব ও মো. সুমিতআহমেদ সোহেল।

 

বার্তা২৪ ডটকম

 

অনলাইন সংবাদমাধ্যম বার্তা২৪ ডট কম পত্রিকার দুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন স্টাফ রিপোর্টারখন্দকার আসিফুজ্জামান ও রাজু আহমেদ।

 

পত্রিকাটির চিফরিপোর্টার সিরাজুল ইসলাম বলেন, আন্দোলন চলাকালে রামপুরা এলাকায় রিপোর্টার খন্দকার আসিফুজ্জামানহামলাকারীদের আঘাতে গুরুতর আহত হন। তাকে তিনদিন হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

 

সকালসন্ধ্যা

 

সকালসন্ধ্যা পত্রিকারতিন জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন যার মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। আহতরা হলেন ফটোসাংবাদিকমো. হারুণ অর রশিদ, স্টাফ রিপোর্টার মেনিরা মিতু ও সংবাদকর্মী কল্লল কর্মকার।

 

ব্রেকিং নিউজ

 

ব্রেকিং নিউজপত্রিকার একজন ফটোসাংবাদিক আহত হয়েছেন। তিনি হলেন মো. সালেকুজ্জামান চৌধুরী।

 

এফএনএস

 

নিউজ এজেন্সিএফএনএস-এর সিনিয়র ফটোসাংবাদিক সালাউদ্দিন আহমেদ শামীম হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। 

 

বাংলা আউটলুক

 

বাংলা আউটলুকপত্রিকার একজন সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি হলেন সিনিয়র রিপোর্টার মোক্তাদির রশীদরোমিও।

 

রাইজিং বিডি

 

রাইজিং বিডিরস্টাফ রিপোর্টার (মাল্টিমিডিয়া) সুকান্ত বিশ্বাস গুরুতর আহত হয়েছেন।

 

নাসির, ধানমন্ডি(9)কোটা আন্দোলনকে ঘিরে রাজধানীর ধানমন্ডি-মিরপুর রোডে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছেঅনেক, তবে সঠিক হিসাব নেই কারও কাছে (ছবি: নাসিরুল ইসলাম)

 

টেলিভিশন

 

ডিবিসি

 

ডিবিসি টেলিভিশনের১০ জন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- সিনিয়র রিপোর্টার মাসুদুর রহমান,জাকারিয়া আহমেদ ও মোস্তফা মাহবুব, স্টাফ রিপোর্টার তরিকুল ইসলাম মোহন ও মোহাইমিনুলখান অপু, ক্যামেরাপারসন আলী ইমাম, কাজী জাহিদ আহমেদ, মর্তুজা নাসির, মাহমুদ আলী বাবুলও মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। এরমধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ।

 

সিনিয়র রিপোর্টারমাসুদুর রহমান বলেন, ১৯ জুলাই পল্টন এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করার সময় তার শরীরে বেশ কয়েকটিছররা গুলি লাগে। এখনও তার মাথা ও কপালে দুটি গুলি রয়ে গেছে। তিনি বলেন, বর্তমানে সময়েপুলিশ, দলীয় কর্মী কিংবা আন্দোলনকারী সবাই সাংবাদিকদের শত্রু ভাবে। আসলে সাংবাদিকরাতো কারও শত্রু না। সাংবাদিকরা কারও পক্ষে বা বিপক্ষে নয়। আমরা গণমানুষের কথা বলি।

 

চ্যানেল আই

 

চ্যানেল আই টেলিভিশনেরদুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট সাকের আদনান ও স্টাফকরেসপন্ডেন্ট শহিদুল্লাহ রাজু।

 

নাগরিক টেলিভিশন

 

নাগরিক টেলিভিশনেরস্টাফ রিপোর্টার ফজলে রাব্বি ও ভিডিও এডিটর রাজু হানিফ হামলায় আহত হয়েছেন। নাগরিক টেলিভিশনেরসিইও দীপ আজাদ বলেন, কোটা আন্দোলনে দুর্বৃত্তদের হামলায় অনেকে আহত হয়েছে। আমাদের টেলিভিশনেরএকটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

 

বাংলাভিশন

 

বাংলাভিশন টেলিভিশনেরতিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- স্টাফ রিপোর্টার মামুন আব্দুল্লাহ ও ফররুখ বাবুএবং ক্যামেরাপারসন লিটন খান। এছাড়া একটি গাড়ি, ক্যামেরা ও বুম ভেঙে ফেলা হয়েছে।

 

এখন টেলিভিশন

 

এখন টিভির দুইজনসাংবাদিক ও সংবাদকর্মী হামলার শিকার হয়েছেন। তারা হলেন রিপোর্টার মাজহার ইমন ও ক্যামেরাপারসনতানিম আহমেদ।

 

এনটিভি

 

এনটিভির ৮ জনসাংবাদিক ও সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- স্টাফ করোসপন্ডেট জুনায়েদ আল হাবিব,কাইকোবাদ মাহমুদ, নাজিবুর রহমান, মেজবাহ হাসান ও শফি মাহমুদ, সিনিয়র ক্যামেরাপারসনসাব্বির হোসেন মার্শাল, ক্যামেরাপারসন আলগীর হোসেন ও হেলাল আহমেদ সজীব।  এনটিভির চিফ অব করেসপন্ডেন্ট সফিক শাহীন বলেন, পেশাগতদায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। এরমধ্যে দুইজন গুরুতরআহত হয়েছেন। তারা এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও আমাদের কয়েকটি ক্যামেরা ও গাড়ি ভাঙচুরকরা হয়েছে।

 

বৈশাখী

 

বৈশাখী টেলিভিশনেরতিন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন স্টাফ রিপোর্টার সাজ্জাদুর রহমান,ক্যামেরাপারসন মাহফুজুর রহমান ও গাড়িচালক মো. সুজন মিয়া। এছাড়াও টেলিভিশনটির একটি গাড়িপোড়ানো ও দুইটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

 

৭১ টিভি

 

৭১ টেলিভিশনের৭ সাংবাদিক আহত হয়েছেন, এর মধ্যে ৬ জনই গুলিবিদ্ধ। গুলিবিদ্ধরা হলেন- সিনিয়র রিপোর্টারনাদিয়া শারমিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ও প্ল্যানিং এডিটর মিল্টন আনোয়ার, সিনিয়র করোসপন্ডেন্টমুফতি পারভেজ নাদির রেজা, ক্যামেরাপারসন রাসেদুল হাসান, মো. আহমুদুল ও আবুল কাউসারও ওলিমুদ্দীন আহমেদ। হামলার শিকার হয়েছে ক্যামেরাপারসন বিসাদ হাসান। নাদিয়া শারমিনবলেন, হামলা-মামলা বা গুলি করে সাংবাদিকতা বা গণমাধ্যম বন্ধ করা যায় না।

 

এশিয়ান টিভি

 

এশিয়ার টেলিভিশনের৭ সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- চিফ রিপোর্টার হালিমা আক্তার লাবণ্য ও রাতেন বিপ্লব,স্টাফ রিপোর্টার নূর মোহাম্মদ ভূঁইয়া ও এনাম মন্ডল, চিফ ক্যামেরাপারসন শহিদুল হক জীবন,সিনিয়র ক্যামেরাপারসন লতিফ চৌধুরী ও ক্যামেরাপারসন আদিব হোসেন। এর মধ্যে তিনজন গুরুতরআহত হয়েছেন। এছাড়াও টেলিভিশনটির একটি গাড়ি পোড়ানো ও দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

 

এটিএন বাংলা

 

এটিএন বাংলা টেলিভিশনেরতিনজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজনের ছররা গুলি লেগেছে। তিনি হলেন- সিনিয়র রিপোর্টারতরিকুল ইসলাম। আহতরা হলেন- স্টাফ রিপোর্টার মুশফিকুর রহমান ও ক্যামেরাপারসন শফিউর রহমানপ্রধান। এছাড়াও টেলিভিশনটির তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

 

নিউজ২৪

 

নিউজ২৪ টেলিভিশনের১২ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন ছররা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন- স্টাফরিপোর্টার মাসুদ সুমন (তার চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে), ক্যামেরাপারসন মোফাজ্জাল হোসেনবাবলু, সাভার প্রতিনিধি নাজমুল হোসেন ও তার ক্যামেরাপারসন এমদাত, রংপুর প্রতিনিধি মমিনও তার ক্যামেরাপারসন ডেমি। এছাড়াও হামলা শিকার হয়েছেন- সিনিয়র রিপোর্টার নাঈম আল জীকু,স্টাফ রিপোর্টারমাসুদা লাবণী ও জুবায়ের সানি এবং ক্যামেরাপারসন আরফিন হোসেন, মো. মুরাদও আবদুস সালাম রিপন।

 

মোহনা টিভি

 

মোহনা টেলিভিশনেতিন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সিনিয়র রিপোর্টার কাজী ইনসাহ বিনদিদার ও হুমায়ুন কবীর। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন সিনিয়র ক্যামেরাপারসন কবীর হোসেন খান।

 

দেশ টিভি

 

দেশ টেলিভিশনেরদুইজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা বলেন- স্টাফ রিপোর্টার জান্নাতুল মোহনা ও ক্যামেরাপারসনআব্দুল খালেক।

 

এসএ টিভি

 

এসএ টেলিভিশনেরপাঁচজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- স্টাফ রিপোর্টার কাওছার হামিদ (সোহান খান),রিপোর্টার ইসমাইল হোসেন ও রিফাত আলম শিশির এবং ক্যামেরাপারসন মো. হারুন ও ইব্রাহিমখলিল। এরমধ্যে সোহান খান ১৮ জুলাই বাড্ডা এলাকায় গুরুতর আহত হন, তার বাম হাত ভেঙে গেছে।তিনি বলেন, আন্দোলনকারীরা সাংবাদিকদের সরকারের দালাল বলে গণপিটুনি দেওয়া শুরু করে।

 

একুশে টিভি

 

একুশে টেলিভিশনেরতিন সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- স্টাফ রিপোর্টার মাহমুদ হাসান, ক্যামেরাপারসনওয়াসিম খান ও গাড়িচালক সোহেল। এছাড়াও টেলিভিশনটির একটি গাড়ি ও একটি ক্যামেরা পুড়িয়েদেওয়া হয়েছে।

 

ইন্ডিপেনডেন্টটিভি টেলিভিশন

 

ইন্ডিপেনডেন্টটেলিভিশনের ১০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- সিনিয়র রিপোর্টার শাহরিয়ার অনির্বান,ইজাজুর রহমান, নাজমুল সাঈদ, আল আমিন হক অহন ও নূর-এ-আলম, স্টাফ রিপোর্টার খালেদ রায়হান,মো. ওমর ফারুখ, ইকরামুল হক, আল আমিন হোসেন ও মাহমুদুল হাসান (পারভেজ)। এর মধ্যে চারজন সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন।

 

আরটিভি

 

আরটিভির ৭ জনসাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- রিপোর্টার ইয়াসমিন আক্তার, তাইমুন রায়হান, দীপ্ত চন্দ্রপাল এবং ক্যামেরাপারসন স্বপন দেওয়ান, মেহেদী হাসান সুজন ও আলাউদ্দিন। এর মধ্যে দুইজনগুরুতর আহত হয়েছেন।

 

যমুনা টিভি

 

যমুনা টেলিভিশনেরসিনিয়র রিপোর্টার ভাস্কর ভাদুড়ী, ক্যামেরাপারসন মিজানুর তপু ও বগুরা ব্যুরো চিফ মেহেরুলসুজন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে রিপোর্টার দুইজন গুরুতর আহত। এছাড়াও যমুনা টিভির ছয়টি গাড়িভাঙচুর করা হয়েছে।

 

সময় টিভি

 

সময় টেলিভিশনের৮ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তারা হলেন- সিনিয়র রিপোর্টার তোহা খান তামিম, রিপোর্টারতানভীর হাসান মেঘ, ক্যামেরাপারসন রতন চন্দ্র মজুমদার, নিজামউদ্দিন আরফিন প্রিন্স, সুমনসরকার ও সালাউদ্দিন মামুন এবং রংপুর প্রতিনিধি (রিপোর্টার) রেজওয়ান হিমেল ও ক্যামেরাপারসনতরিকুল ইসলাম। এরমধ্যে তিন জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম

 

বিদেশি সংবাদমাধ্যমেকর্মরত তিনজন বাংলাদেশ প্রতিনিধি আহত হয়েছেন। এরমধ্যে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারাহলেন- যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বেনার নিউজ এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি জীবন আহমেদও শরিফ সিয়াম ইয়ন। এছাড়াও জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে পত্রিকার বাংলাদেশপ্রতিনিধি হারুন উর রশিদ স্বপন আহত হয়েছেন।

 

ঢাকার বাইরে

 

নারায়ণগঞ্জ

 

নারায়ণগঞ্জে ছয়সাংবাদিক গুরুতর আহত হয়েছেন। জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি মোবাশ্বির শ্রাবণ গুলিবিদ্ধহন। এছাড়া আহত হয়েছেন দৈনিক সোজাসাপটা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সোনালী আক্তার, দৈনিকসচেতন পত্রিকার অনলাইন বার্তা সম্পাদক ফাহমিদা এমি ও স্টাফ রিপোর্টার নিশি আক্তার,দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার জেলার ফটোসাংবাদিক মো. সবুজ মিয়া এবং একুশে টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন রবিউল ইসলাম।

 

সাভার

 

সাভারে চার সাংবাদিকগুরুতর আহত হয়েছেন। তারা হলেন স্থানীয় পত্রিকা পাক্ষিক নিউজ গার্ডেনের সম্পাদক ওমরফারুক (গুলিবিদ্ধ হয়েছেন), এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার জাহিদুর রহমান ও ক্যামেরাপারসনজাহেদ আনসারি এবং নিউজ২৪-এর সাভার প্রতিনিধি ও ক্যামেরাপারসন এমদাদ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

 

জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়

 

জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের৯ জন ক্যাম্পাস প্রতিনিধি গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা হলেন- প্রথম আলোর প্রতিনিধি মামুন,যুগান্তরের প্রতিনিধি মোসাদ্দেকুর রহমান, বণিক বার্তার প্রতিনিধি মেহেদী মামুন, দৈনিকবাংলার প্রতিনিধি আব্দুর রহমান খান সার্জিল, বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিনিধি এস এম তাওহীদ,দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিনিধি ওয়াজহাতুল ইসলাম, বাংলাদেশ টুডের প্রতিনিধি জোবায়ের আহমেদ, সময়ের আলোরপ্রতিনিধি মুশফিকুর রিজওয়ান, সাউথ এশিয়ান টাইমসের প্রতিনিধি সাকিব আহমেদ।

 

ঢাকা সাংবাদিকইউনিয়ন (ডিইউজে) সভাপতি সোহেল হায়দায় চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকতা মানুষের তথ্য অধিকারনিশ্চিতে ভূমিকা রাখে। এর আগেও বাংলাদেশে অনেক বড় বড় আন্দোলন হয়েছে। সরকার পতনের আন্দোলনেওসংবাদমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করেছে। তবে এবার আমরা দেখেছি সাংবাদিকদের কোণঠাসা করতেসবাই মরিয়া ছিল। সরকারি সংস্থার সদস্যদের থেকে শুরু করে জনসাধারণও সাংবাদিকদের তথ্যসংগ্রহে বাধা সৃষ্টি করেছে। এর কারণ কিছু সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের অপসাংবাদিকতা এবংরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নীতিকাঠামোর দুর্বলতা। এসব কারণে সাংবাদিকতার মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

 

কোটা আন্দোলনকেকেন্দ্র করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে শিক্ষার্থী, পুলিশ,সাংবাদিক ও শিশুসহ ২১০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।তবে রবিবার (২৮ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ১৪৭ জন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।মৃত্যুর এই হিসাব কিছু হাসপাতাল, মরদেহ নিয়ে আসা ব্যক্তি ও স্বজনদের সূত্রে পাওয়া।সব হাসপাতালের চিত্র পাওয়া যায়নি।

 

এ পর্যন্ত প্রাপ্ততথ্য অনুযায়ী, ১৬ জুলাই ৬ জন, ১৮ জুলাই ৪২ জন, ১৯ জুলাই ৮৫ জন, ২০ জুলাই ৩৮ জন, ২১জুলাই ২১ জন, ২২ জুলাই ৫ জন, ২৩ জুলাই ৩ জন, ২৪ জুলাই ৩ জন, ২৫ জুলাই ৫ জন ও ২৬ জুলাই১ ও ২৭ জুলাই ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, গত সোমবার থেকে আজ পর্যন্ত সব মৃত্যুচিকিৎসাধীন অবস্থায় হয়েছে।

 মিডিয়াওয়াচ থেকে আরোও সংবাদ

ই-দেশকাল

আর্কাইভ