তিনি দেশকালকেবলেন, “বিমানবন্দর থেকে শাফিনের মরদেহ গুলশানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে পারিবারিকভাবেরাখা হবে। “মঙ্গলবার গুলশান আজাদ মসজিদে জোহরেরনামাজের পর জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে শাফিনকে।”
মাইলস ব্যান্ডেরঅন্যতম ভোকালিস্ট শাফিন আহমেদ ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে গত বৃহস্পতিবার মারা যান।গত ২০ জুলাই সেখানে একটি কনসার্টে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালেভর্তি করা হলেও তাকে ফেরানো যায়নি।
ভার্জিনিয়ারদার আল নুর ইসলামিক কমিউনিটি মসজিদে শুক্রবার তার প্রথম জানাজা হয়। সেখানে প্রায় ২হাজার মানুষ জানাজায় অংশ নিয়ে এ শিল্পীকে শেষ বিদায় জানান। বাংলাদেশের সংগীত অঙ্গনেরদুই মহারথী সংগীত শিল্পী ফিরোজা বেগম এবং সুরকার কমল দাশগুপ্তের ছেলে শাফিন নিজে ছিলেনবেইজ গিটারিস্ট, সুরকার এবং গায়ক। ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তার জন্ম। বড় ভাই হামিনআহমেদসহ ইংল্যান্ডে পড়তে গিয়ে পশ্চিমের সংগীতের সঙ্গে সখ্য হয় শাফিনের। শুরু হয় তারব্যান্ড সংগীতের যাত্রা।
পরে ফরিদ রশিদেরহাত ধরে ১৯৭৯ সালে তারা গড়ে তোলেন ব্যান্ড দল ‘মাইলস’। প্রথম কয়েক বছর তারা বিভিন্ন পাঁচতারাহোটেলে ইংরেজি গান গাইতেন। এরমধ্যেই প্রকাশিত হয় দু’টি ইংরেজি গানেরঅ্যালবাম ‘মাইলস’ ও ‘এ স্টেপ ফারদার’। পরে মাইলসের বাংলা গানের প্রথম অ্যালবাম‘প্রতিশ্রুতি’ বের হয় ১৯৯১ সালে। ওই অ্যালবামেরজনপ্রিয়তার পর বিটিভিতে বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠানে দেখা যেতে থাকে মাইলসকে। ধীরে ধীরেমাইলস দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ডদলে পরিণত হয়।
মাইলসের জনপ্রিয়গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘প্রথম প্রেমেরমতো’, ‘গুঞ্জন শুনি’, ‘সে কোন দরদিয়া’, ‘ফিরিয়ে দাও’, ‘ধিকি ধিকি’, ‘পাহাড়ি মেয়ে’, ‘নীলা’, ‘কি যাদু’, ‘কতকাল খুঁজব তোমায়’, ‘হৃদয়হীনা’, ‘স্বপ্নভঙ্গ’, ‘জ্বালা জ্বালা’, ‘শেষ ঠিকানা’, ‘পিয়াসী মন’, ‘বলব না তোমাকে’, ‘জাতীয় সঙ্গীতের দ্বিতীয় লাইন’ ও ‘প্রিয়তমা মেঘ’।
মাইলস থেকে বেরিয়েপরে শাফিন আহমেদ গড়ে তোলেন ‘ভয়েস অব মাইলস’ নামের ব্যান্ড।