গত ২৩ জুলাই রাতেবাসায় হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হয় সংগীতশিল্পী জুয়েলের। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে হাসপাতালেভর্তি করা হয়। এরপর চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেন। তার ফুসফুসেপানি জমে যায়। চিকিৎসকরা সেই পানি বেরও করেন। ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতিহচ্ছিল। কিন্তু আজ অবস্থার অবনতি হয়ে তার মৃত্যু হয়। ২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসারধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও তা সংক্রমিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে তার চিকিৎসা চলছিল। ক্যানসারথেকে কিছুটা সেরে উঠছিলেন এই শিল্পী। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো থাকতে সীমিত পরিসরেগান, উপস্থাপনা করতেন তিনি। সুস্থ অবস্থায় তিনি বলেছিলেন, ‘বিশেষ শারীরিক-মানসিক অবস্থারমধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে আমাকে। আমার এখন প্রেরণা দরকার। আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই।’
১৯৯২ সালে বেরহয় জুয়েলের প্রথম গানের অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’। তারপর থেকেপ্রায় নিয়মিত বের হতো তার গানের অ্যালবাম। সেসবের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল‘এক বিকেলে’। তার অনেক গান সুর করেছিলেন প্রয়াতব্যান্ডতারকা আইয়ুব বাচ্চু। সেসময় তার গানকে ‘রোমান্টিক-স্যাড’ ঘরানার বলে অবিহিত করা হতো। সে প্রসঙ্গেসাংবাদিক রাসেল মাহমুদকে জুয়েল বলেছিলেন, ‘আমাকে আবিষ্কার করেছিলেন বাচ্চু ভাই (আইয়ুববাচ্চু)। বলেছিলেন, গাও। তিনি বাজিয়েছেন, আমি গেয়েছি। আমার কণ্ঠ শুনে তিনিই ঠিক করেদিয়েছিলেন যে, আমাকে ‘রোমান্টিক-স্যাড ব্যালাড’ ধরনের গান গাইতেহবে।’
জুয়েলের অ্যালবামগুলোরমধ্যে রয়েছে ‘আমার আছে অন্ধকার’, ‘একটা মানুষ’, ‘দেখা হবে না’, ‘বেশি কিছু নয়’, ‘বেদনা শুধুই বেদনা’, ‘ফিরতি পথে’, ‘দরজা খোলা বাড়ি’, ‘এমন কেন হলো’। সর্বশেষ ২০১৭ সালে বাপ্পা মজুমদারেরসুরে মুক্তি পায় জুয়েলের একক গান ‘খুব সকালে’।