এম সাখাওয়াত হোসেন
দেশে আজকে যা ঘটল, এটাইহওয়ার কথা ছিল। গণ-অভ্যুত্থান কখনো ঠেকানো যায় না। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনসহজেই সমাধান করা যেত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জেদের কারণে এত মানুষ মারাগেল। গণমাধ্যমে প্রাণহানির যে চিত্র উঠে এসেছে, বাস্তবে এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি। আরওকত মরদেহ কোথায় পড়ে আছে, কত গণকবর হয়েছে, কতগুলো নিরীহ মানুষের প্রাণ ঝরেছে! তিনি তোচলে গেলেন। এখন এর জবাব দেবে কে?
এর আগে আমরা সবাই এইচ এমএরশাদকে স্বৈরাচার বলেছি। তখন মাত্র ছয়জন মানুষ মারা যাওয়ায় তাঁকে স্বৈরশাসক বলছি।কিন্তু গত ১৫ বছরে কত মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
২০০৯ সালে পিলখানায় তৎকালীনবিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা মারা গেছেন। এখন এর জবাব দেবে কে?
যাঁকে জাতির পিতা বলা হয়,তাঁর পরিবারের সদস্যদের এত করুণ পরিণতি কেন হবে? তাঁর এমন পরিণতি আমাদের দেখতে হলো।এসব হয়েছে, তাঁর দম্ভ ও অহমিকার কারণে। প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, দেশে সুশাসন নিশ্চিতকরেন। বিভিন্ন সভা–সেমিনারে বলেছি। যা হচ্ছে, তা স্বৈরতন্ত্র। এসব বলারকারণে আমাদের ভিন্ন দলের এজেন্ট বলা হতো। এই যে গণভবন লুটপাট হচ্ছে, ভাঙচুর হচ্ছে—এজন্য জনগণকে দোষ দেবেন কীভাবে?
শ্রীলঙ্কা থেকে হাসিনারসরকার শিক্ষা নেয়নি। তিউনিসিয়া থেকে শিক্ষা নেয়নি। মিসরে কীভাবে হোসনে মোবারক জনরোষেউড়ে গেছে, সেখান থেকে সরকার শিক্ষা নেয়নি। জনগণের সরকার না হলে এমন পরিণতি হয়।
এরশাদের চেয়ে শেখ হাসিনা১০০ গুণ বেশি খারাপ হয়ে বিদায় নিয়েছেন। এরশাদ পালিয়ে যাননি। তিনি পালিয়ে গেছেন। তিনিপালিয়ে গেছেন, কিন্তু আওয়ামী লীগ দলটাকে ধ্বংস করে দিয়ে গেলেন। তাঁর হিংসা, দম্ভ, অহংকারদলটাকে ধ্বংস করল।
এম সাখাওয়াত হোসেন
নির্বাচন বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তা