শনিবার , ০৫ অক্টোবর ২০২৪

আজ খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মদিন

দেশকাল ডেস্ক   বৃহস্পতিবার , ১৫ আগষ্ট ২০২৪

বিএনপিচেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৫ সালের এ দিনেতিনি দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ইস্কান্দার মজুমদার ও তৈয়বা মজুমদার দম্পতির তৃতীয়সন্তান তিনি। জন্মদিনের এই লগ্নে বিএনপি প্রধান অসুস্থ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালেচিকিৎসাধীন রয়েছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মুক্ত পরিবেশেএবারের জন্মদিন কাটাবেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। একই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেহত্যা করায় গত কয়েক বছর ধরে খালেদা জিয়ার নির্দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে জন্মদিন পালন করাথেকে বিরত আছে বিএনপি। আজও কেক কেটে জন্মদিন পালন না করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।জন্মদিন উপলক্ষ্যে দলীয় প্রধানের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনায় এবং ছাত্র জনতার আন্দোলনেশহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ১৬ আগস্ট সারা দেশের দলীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলেরকর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

 

পৈতৃকনিবাস ফেনীর ফুলগাজী হলেও তার শৈশব-কৈশোর কেটেছে দিনাজপুরে বাবার কর্মস্থলে। ১৯৬০ সালেরআগস্টে তৎকালীন সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন খালেদা জিয়া।এ দম্পতির দুই সন্তান, তারেক রহমানের জন্ম ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর ও ১৯৬৯ সালের ১২ আগস্টআরাফাত রহমান কোকোর। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চলাইটেরনামে বর্বরোচিত গণহত্যা শুরু করলে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি সেনারা বিদ্রোহ করেন।২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষেজিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পর যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এ দেশের মানুষ।

 

১৯৮১সালের ৩০ মে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে দেশি-বিদেশিচক্রান্তে বিপথগামী সৈন্যদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন। এর পরপরই জিয়াউর রহমানের গড়াবিএনপির রাজনীতিতে আগমন ঘটে খালেদা জিয়ার। দলের নেতাকর্মীদের দাবির মুখে ১৯৮২ সালের২ জানুয়ারি তিনি বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হন। নব্বইয়ে তৎকালীন সরকার বিরোধী দীর্ঘ আপসহীনআন্দোলনের পর ১৯৯১ সালে তিনি বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এপর্যন্ত তিন দফায় প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন খালেদা জিয়া। ওয়ান-ইলেভেনের পর মঈন-ফখরুদ্দীনসরকারের আমলে তিনি কারাবন্দি হন। পরে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির অভিযোগে কারাদণ্ডহলে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে আবারও বন্দি করা হয়।

 

করোনাভাইরাসেরকারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ৬ মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদাজিয়াকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার। সেই থেকে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।৬ মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল তৎকালীন সরকার। এর মধ্যে ৭ দফায় লিভার সিরোসিস,হার্ট জটিলতাসহ নানা রোগে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। এই মুহূর্তেবিএনপি প্রধান অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখেশেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট খালেদা জিয়ার সাজা বাতিল করে মুক্তি দেন রাষ্ট্রপতি।

  রাজনীতি থেকে আরোও সংবাদ

ই-দেশকাল

আর্কাইভ