বুধবার , ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

তাপস-মুন্নী ও গানবাংলা নিয়ে মুখ খুললেন ন্যান্সি

দেশকাল ডেস্ক   বৃহস্পতিবার , ২২ আগষ্ট ২০২৪

শেখ হাসিনারপতনের পর মুখ খুলতে শুরু করেছেন নির্যাতিত নিপীড়িত বহু মানুষ। সেই দলে আছেন শিল্পীরাও।জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি তাদের একজন। গত ২০ আগস্টদেশের কিছু টিভি চ্যানেলের মালিকানা ও পরিচালনা পর্ষদের পরিবর্তন দাবি করেছেন তিনি।গান বাংলা চ্যানেলকে ‘প্রাণ বাংলা’ লিখে চ্যানেলটির ওপরও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই কণ্ঠশিল্পী।

 

 

ন্যান্সি সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, এই দেশে প্রাণ বাংলা নামে একটি গানের চ্যানেল ছিল। চ্যানেলটিতেসাদা পোশাক পরা স্বয়ং তানসেন ছিল। তানসেনের একজন বৌ ছিল। চ্যানেলটির গৃহপালিত অনেকশিল্পী ছিল। বৌটি সেসব শিল্পীর প্রিয় ভাবি ছিল। চ্যানেলটিতে এত বেশি শিল্পচর্চা হতোযে, সেখানে রাতভর সংগীত বিষয়ে গবেষণা হতো, সেটা আবার জাতি সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণেলাইভে দেখতে এবং শুনতে পেতো।

 

 

 

গান বাংলা চ্যানেলেরব্যবস্থাপনা পরিচালক কৌশিক হোসেন তাপস।তাপসের ব্যান্ড তাপস অ্যান্ড ফ্রেন্ডসকে কটাক্ষকরে ন্যান্সি লিখেছেন, তানসেন অ্যান্ড ফ্রেন্ডস বছরজুড়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বাংলার আনাচেকানাচে জয়বাংলা কনসার্ট করে দর্শক মাতিয়ে রাখায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তানসেনেরখালি কণ্ঠে গাওয়া ‘দে তালি বাঙালি’ গানে ‘পালায় না’ বলেও ভারতে পালিয়ে যাওয়া নেত্রীহাসিমুখে হাততালি দিয়েছেন। নেত্রীর অনুসারীগণ বিভিন্ন উপলক্ষে প্রায়শই কালো রং করাচ্যানেলটিতে গিয়ে নিজেদের জং ধরা কণ্ঠ ঝালাই দিতেন এবং বাহবা কুড়াতেন।

 

 

 

চ্যানেলটিরঅর্থ যোগানের উৎস কোথায়? এমন প্রশ্ন উত্থাপন করে তিনি লিখেছেন, বিদেশ থেকে একঝাঁকযন্ত্রশিল্পী এনে দেশীয় শিল্পীদের মেলবন্ধনে ‘দিনবদলের হাওয়া’ নামে একটি নিয়মিতঅনুষ্ঠান তানসেন এবং তানসেন পরিবারের ভাবী জাতিকে উপহার দিয়েছে। নতুন আঙ্গিকে পুরাতনগানগুলোর পরিবেশনা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। কিন্তু প্রতি গানে অযাচিত তানসেনেরউপস্থিতি দর্শকমনে প্রচন্ড বিরক্তির উদ্রেগ করেছে। তানসেন এবং তার স্ত্রী চ্যানেলেরনিয়মিত অনুষ্ঠানের বাইরেও পারিবারিক জমকালো অনুষ্ঠান করতে গিয়ে এত অর্থের জোগান কোথাথেকে পান, আমাদের অবুঝ মনে সেইসব সবুজ প্রশ্ন প্রায়শই জেগে ওঠে।

 

 

 

সম্প্রতি বেশকিছু টিভি চ্যানেলে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। কিছু চ্যানেল বন্ধ করার দাবি উঠেছে।সেসবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ন্যান্সি লেখেন, এখন কিছু টিভি চ্যানেল বন্ধের জোর দাবিউঠছে। বিগত সময়ে আমি বা আমরা বিতর্কিত কিছু চ্যানেলের আধিপত্যর শিকার হয়েছি। তবুওআমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো টিভি চ্যানেল বন্ধের পক্ষে না। বরং প্রশ্নবিদ্ধ চ্যানেলগুলোরমালিকানা এবং পরিচালনা পর্ষদে পরিবর্তন আনা হোক। কেননা বিগত সরকারের সময়ে অনেক চ্যানেলেমালিকপক্ষ মালিকানা হস্তান্তর, এমনকি অনেকে জোরপূর্বক নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে বিতাড়িতহয়েছেন। শোনা যায় ‘প্রাণ বাংলা’ নামের বাংলাদেশের একমাত্র গানের চ্যানেলটি প্রকৃতমালিকের কাছ থেকে দখল করে নেওয়া হয়। এ বিষয়ে তদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করি। চ্যানেলগুলোহতে হবে সরকারের চাটুকারিতা এবং রাজনীতির বলয় মুক্ত।

 

 

 

বর্তমান বিটিভিরপ্রশংসা করে তিনি লিখেছেন, বিটিভির জন্য যারা কেঁদে আকুল হয়েছিলেন, তারা আগামী কিছুদিনঅন্তত বিটিভি দেখুন। “এমন দেশ কি আদৌ চেয়েছিলাম” না জপে, “বিটিভির প্রচারমান এত স্বল্পসময়ে এত উন্নত হলো কি করে” এই কথা জপুন।’

 

উল্লেখ্য, বহুজনপ্রিয় গানের শিল্পী ন্যান্সি দীর্ঘদিন কোনঠাসা হয়ে ছিলেন। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেজড়িত থাকায় নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে তাকে। ২০১৩ সালের ২১ অক্টোবর ফেসবুকেস্ট্যাটাস দিয়ে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান জানান দেন এই শিল্পী। সেখানে বিএনপির প্রতিসমর্থন জানানোর পাশাপাশি বেগম খালেদা জিয়ার প্রশংসা করেন তিনি। তারপরই তার বাড়িতেহানা দেয় পুলিশ। তার দাবী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দীর্ঘদিন স্টেজ শো থেকে বঞ্চিতহয়েছেন এই শিল্পী

 বিনোদন থেকে আরোও সংবাদ

ই-দেশকাল

আর্কাইভ