বুধবার , ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মোহাম্মদ সাইদুল আমিন:
সুদীর্ঘ পেশাগত জীবনে সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে এবং শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বীমা খাতে নিজের ক্যারিয়ার গড়েছেন প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুল আমিন। দীর্ঘ সময় বেসরকারী খাতের বিভিন্ন জীবন বীমা প্রতিষ্ঠানে আস্থা এবং বিশ্বস্ততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সঙ্গে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ‘বীমা আইন-২০১০’ এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সহ সকল নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সংশ্লিষ্ট আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নিয়ম মেনেই সুনামের সাথে প্রথম সারির সিইও হিসেবে বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার অতিবাহিত করছেন। ইতিপুর্বে তিনি হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে মাঠ পর্যায়ে নিষ্ঠা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের বীমা আইন-২০১০ এর বিধান এবং বীমা কোম্পানির (মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারণ), প্রবিধানমালা ২০১২ এর বিধি-বিধান অনুসরণপূর্বক পূর্ণাঙ্গ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে অনুমোদন লাভ করেন।

বর্তমানে প্রগ্রেসিভ লাইফের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দক্ষতা ও বিচক্ষণতায় তাঁর স্থান বরাবরই ছিলো প্রথম। বিগত দিনের দুস্কৃতিকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদের কাছ থেকে মুক্ত হয়ে যখন প্রতিষ্ঠানের হারিয়ে যাওয়া সুনাম ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে চেয়্যারমান, পরিচালনা পর্ষদ, কর্মকর্তা-কর্মচারী, পলিসিহোল্ডার, শেয়ারহোল্ডার ও ষ্টেকহোল্ডাদের স্বার্থ সংরক্ষনার্থে নির্ভরতার এক মূর্ত প্রতীকে রুপান্তরিত হয়েছেন নিজ আলোয়- ঠিক তখনই কু-চক্রি একটি মহল ব্যক্তিগত আক্রোশে তাঁর সুনাম ক্ষুন্ন ও অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কিছু গণমাধ্যমে ভুল তথ্য দিয়ে ‘অতিরঞ্জিত, মিথ্যা, বানোয়াট গল্প’ সাজিয়ে একপাক্ষিক সংবাদ পরিবেশন করছে। এছাড়াও বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ যথাযথ যাচাই-বাছাই ও সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে অনুমোদন দিলেও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা’র অনুমোদন নিয়ে কর্তৃপক্ষের নামে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছে।

সম্প্রতি কিছু স্বার্থান্বেষী মহল অসঙ্গতিপূর্ণ ও আংশিক সংবাদ পরিবেশন করে বীমা গ্রাহক এবং খাত সংশ্লিষ্টদের মাঝে বিভ্রান্তির চেষ্টা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানী লিমিটেড।

বীমা প্রতিষ্ঠানটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সাইদুল আমিন জানিয়েছেন, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স প্রতিষ্ঠার পর থেকে বীমা সেবার মাধ্যমে গ্রাহক ও শেয়ারহোল্ডারদের আস্থাও নির্ভরতার প্রতীকে রুপান্তরিত হচ্ছে।২০২৪ সালে গ্রাহকের বীমা দাবী পুরন করা হয়েছে প্রায় ১৮ কোটি টাকা। ২০১৬ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স এর পলিসির সংখ্যা ছিল ১৯৯৭৯০টি, মোট ব্যবসার পরিমান ১২৫.৬৫ কোটি টাকা। এই পর্যন্ত মৃত্যুদাবি পরিশোধ করেছে ৯.২৭ কোটি, প্রত্যাশিত সুবিধা পরিশোধ করেছে ৯২.৫৩ কোটি, সমর্পণ মূল্য পরিশোধ করেছে ৭.৩৪ কোটি এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ দাবী পরিশাধ করেছে ৩০৫.৬৬ কোটি টাকা সহ সর্বমোট ৪১৪.৮০ কোটি টাকার বীমা দাবি পরিশোধ করা হয়েছে। এফডিআর, বন্ড, বিজিটিবি ও শেয়ার ইনভেষ্টমেন্ট করা হয়েছে ১৯১.৪৯ কোটি টাকা, কোম্পানির লাইফ ফান্ডে রয়েছে ১০২.৯৯ কোটি টাকা।

সাইদুল আমিন বলেন, দেশ মাতৃকার টানে বিদেশে বসবাসরত অনাবাসী বাংলাদেশী নাগরিক যারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠতি তাদের স্বপ্নে লালিত শুধুমাত্র দেশের জনগণের কল্যাণে ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে প্রগ্রেসিভ লাইফ এবং প্রতিষ্ঠার অল্প সময়ের মধ্যেই অর্থাৎ ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্ত হয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এর অন্তর্ভূক্ত হয়। এছাড়াও কোম্পানিটি ২০০৮ সালে স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতা, সুশাসন এবং সার্বিক কার্যক্রম বিবেচনায় ‘দি বাংলাদেশ ইনস্টিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট এ্যাকাউন্ট্যান্টস’্ এর নিকট থেকে ‘বেস্ট কর্পোরেট পারফরমেন্স এওয়ার্ড’ অর্জন করে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় ২০০৬ সালে সমাপ্ত হিসাব বৎসরের উপর ভিত্তি করে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন এন্ড সার্ভিসেস লিমিটেড কর্তৃক কোম্পানির রেটিং সম্পন্ন করে ফলাফল “বিবিবি+” প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটি দরিদ্র জনগোষ্ঠির কল্যাণার্থে দেশব্যাপী বীমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ ২৪ বৎসরের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিটি অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দেশব্যাপী নিরলসভাবে গ্রাহক সেবা দিয়ে যাচ্ছে, বর্তমানে কোম্পানিটির সদর দপ্তর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র কাকরাইলে অবস্থিত।

প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড একটি লাইফ ইনসিওরেন্স বা জীবন বীমা প্রতিষ্ঠান। প্রগ্রেসিভ লাইফ এর কাজ হলো দেশব্যাপী দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে জীবন বীমার আওতায় আনা এবং উত্তম সেবার মাধ্যমে বীমাকারীদের স্থিত অর্থের সুরক্ষা নিশ্চত করা। এছাড়াও বীমাকারীদের স্থিত অর্থ সঠিক স্থানে বিনিয়োগ করে মুনাফা অর্জন করাই কোম্পানির প্রধান কাজ। বীমাকারী প্রিমিয়াম অনুযায়ী নির্দিষ্ট মেয়াদ পূর্তির পর লভ্যাংশ সহ অর্থ প্রদান করে থাকেন।

এইক্ষেত্রে, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি বেশ কয়েক ধরনের বীমা সুবিধা প্রদান করে থাকে। জীবন বীমা এর মধ্যে-  মেয়াদী বীমা,সঞ্চয়ী বীমা, আজীবন পেনশন বীমা, শিক্ষাবৃত্তি, বিবাহ, হজ্জ, দেন মোহর, স্বাস্থ্য বীমা, গ্রুপ বীমা এবং মাসিক ডিপিএস ইত্যাদি বীমা পরিকল্প সমূহ রয়েছে।

কোম্পানির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন,আমি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে রংপুর,কুড়িগ্রাম,নোয়াখালি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া,কুমিল্লা,সিলেটসহ বিভিন্নস্থানে আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে বীমাদাবী পরিশোধ করছি।এতে করে গ্রাহক আস্থা ফিরে আসছে।

সাইদুল আমিন আরও জানান, তিনি কোম্পানির সিইও হিসেবে গত ১৪ মার্চ, ২০২৪ইং তারিখে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে গ্রাহক সেবাকে প্রাধান্য দিয়ে কোম্পানিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং ব্যবসা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। সারাদেশে নতুন নতুন মাঠ পর্যায়ে সংগঠন সৃষ্টি করে গ্রাহকসেবা বিস্তৃতি ঘটানো হয়েছে।  ২০২৪ সালে নতুন সংগঠন সৃষ্টি করা হয়েছে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রায় ৬ শতাধিক মাঠকর্মী ও দাপ্তরিক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ বিভাগ খুলে প্রশিক্ষণ প্রদান করে জনবল সৃষ্টির লক্ষে কাজ করে চলেছে।

মোহাম্মদ সাইদুল আমিন: মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি। 

 অর্থ-বাণিজ্য থেকে আরোও সংবাদ

ই-দেশকাল

আর্কাইভ