আশীষ সাহা , আখাউড়া থেকে :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় জরায়ু টিকা নিলো ছাএীদের পাশাপাশি সকল শ্রেণী কিশোরীরা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জরায়ুমুখক্যান্সার প্রতিরোধ টিকা নিয়েছেন ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সি কিশোরীরা। মাসব্যাপি টিকাদানকর্মসূচি শেষে সোমবার এক অবহিতকরণ সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় জানানো হয়, উপজেলায় মোট ১০ হাজার ৮৮৬ জনকে হিউম্যান পেপিলোমা ভ্যাকসিন(এইচপিভি) দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। তবে ২৪ অক্টোবর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত কর্মসূচিচলাকালে ১১ হাজার ৪০০ জন এ টিকা নিয়েছেন। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি টিকা দেওয়াসম্ভব হয়েছে। অর্জনের হার ১০৫ ভাগ। ১৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫ম থেকে নবম শ্রেণিরশিক্ষার্থী, ১২০টি অস্থায়ী ও একটি স্থায়ী কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেনউপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনাকর্মকর্তা মো. হিমেল খানের সভাপতিত্বে এতে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদআবুল হাসিমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মো.নাজমুল হক বলেন, ‘২৮ নভেম্বর পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচির সময় বাড়ানো হয়েছে। চাহিদারচেয়ে বেশি টিকার প্রয়োজন পড়ায় পাশর্^বর্তী বিজয়নগর উপজেলা থেকে আনা হয়েছে। এখনো যদিকেউ বাকি থেকে থাকে তাহলে তাদেও দেওয়ার মতো টিকাও রয়েছে।’
ডা. হিমেল খান বলেন, ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচির সময় বাড়ানোহয়েছে। চাহিদার চেয়ে বেশি টিকার প্রয়োজন বিধায় পার্শ্ববতী বিজয়নগর উপজেলা থেকে বেশ কিছু টিকা আনা হয়েছে। ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেবেশি করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে, আর সকল শ্রেনীর কিশোরীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে টিকানেওয়ার জন্য। আমাদের আখাউড়ায় উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জরায়ু টিকা নিলো কিশোরীরা এখনো যদি কেউ বাকি থেকে থাকে তাহলে তাদেও দেওয়ার মতো টিকাও রয়েছে। সবাইকেজোড়ালো ভাবে প্রচার প্রচারণা করার আহ্বান জানান।