ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিনপ্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত বৈঠক দ্বন্দ্বে পরিণতহয়। বৈঠক শেষে তাদের যৌথ সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়। এ ঘটনা বিশ্বের বিভিন্ন দেশেরনেতারা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিনট্রুডো ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আক্রমণকে অবৈধ ও অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেছেন এবংবলেছেন, কানাডা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম অব্যাহতরাখবে।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ বলেছেন, ইউক্রেনেরজনগণের চেয়ে কেউ বেশি শান্তি চায় না এবং জার্মানি ও ইউরোপ ইউক্রেনের পাশে থাকবে।ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, রাশিয়া আক্রমণকারী। ইউক্রেন স্বাধীনতা,মর্যাদা ও ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য লড়াই করছে। সবাইকে তাদের সহায়তা ও সম্মান জানাতেহবে।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি পশ্চিমা দেশগুলোরমধ্যে বিভক্তি না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের জন্য একটি জরুরিশীর্ষ সম্মেলন আহ্বান করা উচিত। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমার ইউক্রেনের জন্যঅবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও শান্তিরজন্য তারা কা করবে।
অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ বলেছেন,অস্ট্রেলিয়া ইউক্রেনের পাশে থাকবে, কারণ এটি একটি গণতান্ত্রিক জাতির যুদ্ধ যা রুশস্বৈরাচারী শাসন পরিচালিত হচ্ছে। ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লারস লোকে রাসমুসেন এইবৈঠককে ইউক্রেনের জন্য ‘আঘাত’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, এমন পরিস্থিতিকেবল রাশিয়ার লাভে আসে।
রাশিয়ান সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেডভেদেভ ট্রাম্পেরআচরণকে ‘একটি বর্বর তিরস্কার’হিসেবে মন্তব্য করেছেন। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন ইউক্রেনেরসাহস ও মর্যাদাকে সম্মান জানিয়ে বলেছেন, ‘আপনি একা নন, আমরা আপনার সঙ্গে আছি।’
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেছেন, ইউক্রেন,তোমাদের পাশে আছে স্পেন। হাঙ্গেরিয়ান প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বান কটাক্ষ করে বলেছেন,শক্তিশালী মানুষ শান্তি আনে, আর দুর্বল নিয়ে আসে যুদ্ধ। আজ ট্রাম্প শান্তির পক্ষে অবস্থাননিয়েছেন, যদিও তা কিছু লোকের জন্য বোঝা কষ্টকর।
নরওয়েজিয়ান প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোয়ে ট্রাম্পেরমন্তব্যকে অবাস্তব ও অযৌক্তিক হিসেবে সমালোচনা করেছেন এবং ইউক্রেনের প্রতি নরওয়েরঅবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
চেক প্রেসিডেন্ট পেট্র পাভেল বলেছেন, ইউরোপকে উক্রেনেরজন্য আরও চেষ্টা বাড়াতে হবে। এস্তোনিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারগুস টাসাখনা বলেছেন,শান্তির একমাত্র বাধা হলো রাশিয়ার যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া।
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড তাস্ক এক্সে বলেছেন,‘প্রিয় ইউক্রেনীয় বন্ধুরা, তোমরা একা নও।’
জার্মান পার্লামেন্টের কনজারভেটিভ পার্টি-গ্রুপেরডেপুটি জোহান ওয়াডেফুল এক্সে বলেছেন, হোয়াইট হাউসের দৃশ্যগুলো বেদনাদায়ক। কীভাবে আপনিযুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের প্রেসিডেন্টকে আঘাত করতে পারেন? মুক্ত ইউরোপ কখনো ইউক্রেনের সঙ্গেবিশ্বাসঘাতকতা করবে না!’
ইতালির উপ-প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও স্যালভিনি ট্রাম্পেরউদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘শান্তির জন্য লক্ষ্য রাখো, এই যুদ্ধ বন্ধ করো!’