পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার বান্নু সেনানিবাসেসন্ত্রাসীদের আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে শিশু ও মহিলাসহ কমপক্ষে ১৫ জন বেসামরিক নাগরিকনিহত হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী বড় হামলা নস্যাৎ করে দিয়েছে এবং কমপক্ষে ছয়জন হামলাকারীকেহত্যা করেছে। মঙ্গলবার নিরাপত্তা সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। খবর জিও নিউজের।
নিরাপত্তা সূত্র আরও জানিয়েছে, তেহরিক-ই-তালেবানপাকিস্তান (টিটিপি) এর সঙ্গে যুক্ত আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীরা প্রতিরক্ষা বাহিনীর তীব্রপ্রতিরোধের মুখোমুখি হওয়ার পর দুটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি কম্পাউন্ডের সীমানায় নিয়েযায়, যার ফলে বিশাল বিস্ফোরণ ঘটে।
এদিকে, বিভিন্ন প্রবেশপথে নিরাপত্তা কর্মীরা ছয়জনসন্ত্রাসীকে নিষ্ক্রিয় করে এবং অন্যদের গ্রেপ্তার করে।
সূত্র আরও জানিয়েছে যে বিস্ফোরণের ফলে কাছের একটিমসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং একটি বাড়ির ছাদ ধসে পড়ে।
জেলা সদর হাসপাতালের (ডিএইচকিউ) একজন মুখপাত্র একবিবৃতিতে বলেছেন, বিস্ফোরণে চার শিশু এবং দুই মহিলাসহ কমপক্ষে ১৫ জন বেসামরিক ব্যক্তিনিহত হয়েছেন এবং আরও ২৫ জন আহত হয়েছেন।
পাকিস্তানের একটি ধর্মীয় স্কুলে আত্মঘাতী বোমা হামলায়ছয়জন নিহত হওয়ার কয়েকদিন পর এই হামলাটি চালানো হলো, যেখানে একই প্রদেশের প্রধানতালেবান নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানে তালেবান কর্তৃপক্ষক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে পাকিস্তানে একই ধরনের হামলা বেড়েছে।
গত জুলাইয়ে হাফিজ গুল বাহাদুর গোষ্ঠী একই ধরনেরহামলা চালিয়েছিল। সীমানা প্রাচীরের সঙ্গে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ির বিস্ফোরণ ঘটায়, আটজনপাকিস্তানি সেনা নিহত হয় এবং প্রতিশোধমূলক অভিযানে ১০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়।
ইসলামাবাদ-ভিত্তিক বিশ্লেষণকারী দল সেন্টার ফর রিসার্চঅ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের মতে, গত বছরটি পাকিস্তানের জন্য এক দশকের মধ্যে সবচেয়েমারাত্মক ছিল, যেখানে হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৬০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।
ইসলামাবাদ কাবুলের শাসকদের বিরুদ্ধে আফগান মাটিতেআশ্রয় নেওয়া জঙ্গিদের নির্মূল করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ করেছে, কারণ তারা পাকিস্তানেআক্রমণ চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই অভিযোগ তালেবান সরকার অস্বীকার করেছে।